Kolkata Knight Riders: ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের শেষ ১০টি মরশুমে কলকাতা নাইট রাইডার্স ছাড়া বিশেষ ক্ষেত্রে এমন ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেনি আর কোনও দল।
সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তী। ছবি- এএফপি।
আইপিএলের ইতিহাসের সব থেকে ধারাবাহিক দলের নাম জানতে চাইলে চেন্নাই সুপার কিংস ছাড়া অন্য কোনও দলের নাম মুখে আনা মুশকিল। কেননা ১৪টি মরশুমে মাঠে নেমে চেন্নাই ১২ বার আইপিএলের প্লে-অফে জায়গা করে নেয়। ১০ বার ফাইনালে উঠে মহেন্দ্র সিং ধোনিরা ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে মাঠ ছাড়েন।
প্লে-ফের ওঠাই হোক অথবা ফাইনালে জায়গা করে নেওয়া, চেন্নাইয়ের ধারেকাছে নেই কেউ। একমাত্র মুম্বই ইন্ডিয়ান্স আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নিরিখে চেন্নাইয়ের পাশাপাশি অবস্থান করছে। সিএসকের মতো মুুম্বই ইন্ডিয়ান্সও ৫ বার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের ট্রফি জিতেছে।
তবে একটি বিশেষ ক্ষেত্রে আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স যে রকম ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে, তা অবাক করবে ক্রিকেটপ্রেমীদের। আসলে শেষ ১০টি আইপিএল মরশুমে কেকেআর হয় প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছে, না হলে শেষের দিক থেকে চার নম্বরে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে।
২০১৪ সালে কেকেআর দ্বিতীয়বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়। সেই শেষবার তারা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের খেতাব হাতে তোলে। পরে ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে পরপর তিনবার প্লে-অফে জায়গা করে নেয় নাইট রাইডার্স। ২০২১ সালে ফাইনালে উঠেও খেতাবি লড়াইয়ে হারতে হয় কলকাতাকে।
২০১৪ থেকে ২০২৩ পযর্ন্ত শেষ ১০টি মরশুমের মধ্যে ৫ বার প্লে-অফে ওঠে কেকেআর। বাকি পাঁচটি মরশুমে তারা শেষের দিক থেকে চার নাম্বরে থাকে।১. ২০১৫ সালে কলকাতা ৮ দলের মধ্যে ৫ নম্বরে থাকে।২. ২০১৯ সালে কলকাতা ৮ দলের মধ্যে ৫ নম্বরে থাকে।৩. ২০২০ সালে কলকাতা ৮ দলের মধ্যে ৫ নম্বরে থাকে।৪. ২০২২ সালে কলকাতা ১০ দলের মধ্যে ৭ নম্বরে থাকে।৫. ২০২৩ সালে কলকাতা ১০ দলের মধ্যে ৭ নম্বরে থাকে।
কলকাতা নাইট রাইডার্স ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের প্রথম ৩টি মরশুমে লিগ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়। ২০০৮ সালে ৮ দলের মধ্যে ৬ নম্বরে থাকে তারা। ২০০৯ সালে ৮ দলের মধ্যে একেবারে শেষে ঠাঁই হয় কেকেআরের। ২০১০ সালে ৮ দলের মধ্যে ৬ নম্বরে থেকে অভিযান শেষ করে কলকাতা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।