সাত বছর গড়াতে না গড়াতেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে AIFF সুপার কাপ। এবছর সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এফসি গোয়া। ফাইনালে জামশেদপুরকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে মানোলো মার্কুয়েজের দল জিতেছে। কিন্তু সুপার কাপের আগের যে মর্যাদা বা জনপ্রিয়তা, সেটা লক্ষ্য করা যায়নি এবারের সুপার কাপে। তাই ফের একবার এই প্রতিযোগিতায় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এএফসির স্লট দিয়েও এই টুর্নামেন্টে আকর্ষণ টানতে ব্যর্থ ফেডারেশন। অবশ্য হবে নাই বা কেন, আইএসএল জিতলে যেখানে কয়েক কোটি টাকায় পায় দলগুলো, সেখানে সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হলে মেলে মাত্র ২৫ লাখ। এই টাকা তো আইএসএলের বেশ কয়েকজন ফুটবলারের এক মাসের বেতন মাত্র।
মোহনবাগান সেরা দল নামায়নি
এবারের আইএসএলে শিল্ড এবং নকআউট ট্রফি জেতার পর মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট কার্যত পাত্তাই দেয়নি এই প্রতিযোগিতাকে। মাত্র ১জন বিদেশিকে দিয়ে এই প্রতিযোগিতা খেলতে পাঠিয়েছিল সবুজ মেরুন শিবির। আরও মজার ব্যাপার হল, সেই নিয়েই তাঁরা আইএসএলের পূর্ণ শক্তির কেরল ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে দিয়েছিল। এরপর যদিও সেমিফাইনালে হেরে ছিটকে যায় বাগান, তবে তাতে সমর্থকদেরও তেমন কিছু এসে যায়নি। কারণ এই মরশুমে ডুরান্ডেও রানার্স আপ হয়েছিল মোহনবাগানই।
চার্চিল এবারে দল তুলে নেয়
গত বছরও দেখা গেছিল সুপার কাপ যখন হয়েছিল তখন জাতীয় দলের শিবির এবং খেলা ছিল, ফলে মোহনবাগানসহ অনেক দলই নিজেদের দলের জাতীয় দলের ফুটবলারদের সার্ভিস পায়নি। অর্থাৎ এআইএফএফও সেক্ষেত্রে সুপার কাপকে অতটা গুরুত্ব দেয়নি, নাহলে তাঁরা এমন সময় প্রতিযোগিতা আয়োজন করতেন না যখন ফিফার উইন্ডো চলছে। এবার সেই একই স্বাদ পেয়েছে এআইএফএফ। চার্চিল ব্রাদার্সও আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এআইএফএফের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে সুপার কাপ থেকে সরে দাঁড়ায়।
সুপার কাপ বদলে ফিরছে ফেডারেশন কাপ?
যা পরিস্থিতি, তাতে দর্শকদের অভাব। বড় ক্লাবগুলোর সেরা দল পাঠানোর ক্ষেত্রে গড়িমসির মাঝে পড়ে সুপার কাপই বন্ধ করে দিতে পারে ফেডারেশন। সেক্ষেত্রে ঐতিহ্যশালী কুলিন ফেডারেশন কাপই ফেরানো হতে পারে যা ১৯৭৭ সাল থেকে শুরু হয়েছিল। এছাড়াও এই প্রতিযোগিতার জনপ্রিয়তা বাড়াতে এবার তাঁরা মরশুমের শুরুতে সুপার কাপ আয়োজন করতে চলেছে।
এগিয়ে আসছে সুপার কাপ, পিছিয়ে যাচ্ছে ডুরান্ড
সেক্ষেত্রে এবার থেকে ডুরান্ড কাপের সঙ্গে ফেডারেশন কাপ বা সুপার কাপের সময়ের অদলবদল করা হচ্ছে। অর্থাৎ সুপার কাপ হবে এবার থেকে মরশুমের প্রথম টুর্নামেন্ট, আর ডুরান্ডকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে শেষে। কারণ শেষ কয়েক বছরে ডুরান্ড কাপকে আইএসএলের স্টেজ রিহারশাল হিসেবে ব্যবহার করায় সব দলই নিজেদের সেরা স্কোয়াডকে এই প্রতিযোগিতা রেজিস্টার করিয়ে থাকে।