এআইএফএফ বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাব জিতলেন শুভাশিস বসু। মোহনবাগান অধিনায়ক বললেন এটাই তাঁর জীবনের সেরা মরশুম। ভারতের জাতীয় ফুটবল দলের ডিফেন্ডার ও মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের অধিনায়ক শুভাশিস বসু দেশের সর্বোচ্চ ফুটবল সম্মান ‘এআইএফএফ বর্ষসেরা ফুটবলার’ (AIFF Men's Player of the Year) পুরস্কার জিতেছেন। ২০২৪-২৫ মরশুমে অসাধারণ পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি স্বরূপ এই সম্মান পেলেন শুভাশিস বসু।
২৯ বছর বয়সি এই ডিফেন্ডারের নেতৃত্বে মোহনবাগান দল আইএসএল লিগ শিল্ড ও আইএসএল চ্যাম্পিয়নশিপ —উভয় শিরোপা জিতেছে। সেই কারণেই এই মরশুমটিকে নিজের কেরিয়ারের অন্যতম সেরা বলেই উল্লেখ করেছেন মোহনবাগানের ক্যাপ্টেন।
দেশের সর্বোচ্চ ফুটবল সম্মান ‘এআইএফএফ বর্ষসেরা ফুটবলার’ জিতে শুভাশিস বসু বলেন, ‘আমি ১০-১২ বছর ধরে পেশাদার ফুটবল খেলছি। তখন থেকেই জানতাম, একদিন এই পুরস্কারটা আমি জিতব।’
আরও পড়ুন … পরবর্তী চারটি ম্যাচে KKR-র কৌশল কী হবে? যশস্বীদের RR-এর বিরুদ্ধে নামার আগে কী বললেন রাহানে?
এরপরে তিনি বলেন, ‘আজ যখন হাতে এই পুরস্কার, তখন নিজেকে দারুণ ভালো লাগছে। ভবিষ্যতে আরও ভারতের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিততে চাই।’ দেশ ও মোহনবাগানের জার্সি গায়ে রক্ষণভাগে দায়িত্বশীলতার পাশাপাশি আক্রমণেও অবদান রেখেছেন এই অভিজ্ঞ ফুটবলার। মোহনবাগানের সবুজ মেরুন জার্সি গায়ে এবারের আইএসএল মরশুমে করেছেন ছয়টি গোল, যা একজন ডিফেন্ডারের জন্য সত্যিই ব্যতিক্রমী।
আরও পড়ুন … ভারতীয় দল সঠিক সময়েই বাংলাদেশ সফরে আসবে… কূটনৈতিক অস্বস্তির মাঝেও BCB-র বড় দাবি
চলতি মরশুম নিয়ে শুভাশিস বসু বলেন, ‘এই মরশুমটা আমার জন্য দারুণ ছিল। আমরা দুটি ট্রফি জিতেছি—লিগ শিল্ড এবং আইএসএল ট্রফি। আমি নিজেও ছয়টি গোল করেছি। এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা মরশুম।’
শুভাশিস বসু ওড়িশার ক্রীড়াবান্ধব পরিবেশের প্রশংসাও করেন, ‘ভারতীয় ফুটবল এগিয়ে চলেছে। তরুণ প্রজন্ম আরও ভালো সুবিধা পাবে। ওড়িশা সরকার ক্রীড়াকে সামনে এগিয়ে নিচ্ছে। এখানকার সুবিধাগুলো দুর্দান্ত। আমরা বহুবার ওড়িশায় জাতীয় দলের ক্যাম্প করেছি।’
আরও পড়ুন … বৈভব সূর্যবংশী প্রসঙ্গে BCCI-কে সতর্ক করলেন গ্রেগ চ্যাপেল! সচিন-কাম্বলি-পৃথ্বীর উদাহরণ তুলে ধরলেন
শুভাশিস বসু এআইএফএফ বর্ষসেরা ফুটবলার খেতাব পাওয়া সপ্তম ডিফেন্ডার। এর আগে এই পুরস্কার জিতেছেন সন্দেশ ঝিঙ্গান (২০২১), সৈয়দ রহিম নবি (২০১২), গৌরামাঙ্গি সিং (২০১০), সুরকুমার সিং (২০০৬), দীপক মন্ডল (২০০২) ও ভি.পি. সত্যেন (১৯৯৫)। ২০১২ সালে সৈয়দ রহিম নবির পর এই প্রথম কোনও বাঙালি ফুটবলার এই সম্মান পেলেন।