ঝুলন গোস্বামীর আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের শেষটা চূড়ান্ত নাটকীয় হল। ইংল্যান্ডের শেষ উইকেট পড়ল দীপ্তি শর্মার মানকাডিংয়ে (এখন অবশ্য মানকাডিং বলা হয় না, রান-আউট বলা হয়)। যা আইনসিদ্ধ হলেও স্পিরিটের দোহাইয়ে হইচই শুরু করেছেন ইংরেজরা।
শনিবার লর্ডসে নিয়মরক্ষার তৃতীয় একদিনের ম্যাচ রুদ্ধশ্বাস জায়গায় পৌঁছে যায়। ৪৪ তম ওভারে যখন বাংলার মেয়ে দীপ্তি বল করতে আসেন, তখন জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৮ রান। হাতে ছিল এক উইকেট। প্রথম বলে এক রান হয়। দ্বিতীয় বলে কোনও রান হয়নি। তৃতীয় বলে চার্লি ডিনকে মানকাডিং করেন।
তৃতীয় বলটা করার মধ্যেই থেমে যান ভারতীয় অল-রাউন্ডার দীপ্তি। পিছন দিকে ফেরেন এবং ভেঙে দেন স্টাম্প। অনফিল্ড আম্পায়ার তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে পাঠান। তাতে স্পষ্ট দেখা যায়, ক্রিজের বাইরে ছিলেন ডিন। আউট দিয়ে দেন আম্পায়ার। তার ফলে ঝুলনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১৬ রানে জিতে যায় ভারত।
তবে স্পিরিটের দোহাই নিয়ে সেভাবে আউট করা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করতে থাকেন ইংরেজরা। প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক নাসের হুসেনও বিরক্তি প্রকাশ করতে থাকেন। তিনি মন্তব্য করেন, ঝুলনের মতো ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের শেষ ম্যাচটা এভাবে শেষ হওয়া চূড়ান্ত লজ্জাজনক।
যদিও ভারতীয়দের বক্তব্য, বল হওয়ার আগে ব্যাটার যখন ক্রিজ থেকে বেরিয়ে যায়, তখন কোথায় লজ্জা থাকে? সেটা ক্রিকেটের স্পিরিটের বিরোধী নয়? যতটা এগিয়ে গিয়েছেন ব্যাটার, ততটার জন্য তো একটা রান-আউটের ক্ষেত্রে নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। পালটে যেতে পারে ম্যাচের ভাগ্য। তখন এত হইচই কোথায় আছে?
ক্রিকেটের আইন কী বলছে?
মেরলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) আইনে ৪১.১৬.১ ধারা অনুযায়ী, মানকাডিং পুরোপুরি আইনসিদ্ধ। ওই ধারায় বলা হয়েছে, যখন থেকে বল করা হচ্ছে শুরু করছেন বোলার, তখন থেকে যতক্ষণ না বোলারের হাত থেকে বল বেরোচ্ছে, তার মধ্যে নন-স্ট্রাইকার এন্ডে থাকা ব্যাটার ক্রিজ থেকে বেরিয়ে গেলে তাঁকে রান-আউট করা যাবে। ওই ব্যাটারকে রান-আউট হিসেবে দেখানো হবে বলে এমসিসি আইনে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।