শুধুমাত্র স্থানীয়দের চার ধাম দর্শনের ছাড়পত্র দিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ চার ধামের পুরোহিতরা। তাঁদের বক্তব্য, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে স্থানীয়দেরও দর্শনের অনুমতি দেওয়া যাবে না।
দেবভূমি তীর্থ পুরোহিত হকহাকুধারি মহাপঞ্চায়েতের আহ্বায়ক সুরেশ সেমওয়াল বলেন, 'পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তীর্থযাত্রীদের চলাচল স্থগিত রাখা উচিত। গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী কমিটি ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছে, স্থানীয়দেরও তীর্থক্ষেত্র দর্শনের অনুমতি দেওয়ার পক্ষে নন পুরোহিতরা।'
সংগঠনের মুখপাত্র ব্রিজেশ সতির বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত করোনা-মুক্ত রয়েছে চার ধাম। হাতেগোনা তীর্থযাত্রীকে দর্শনের অনুমতি দিলেও সেখানে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। তিনি বলেন, ‘তীর্থযাত্রীদের অনুমতি দেওয়ার ফলে প্রধান পুরোহিত বা অন্যান্য পুরোহিতরা সংক্রামিত হলে চার ধামে পুরো পুজো প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে।’ একইসুরে বিজেপি সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন কেদারনাথের তীর্থ পুরোহিত সমাজের সভাপতি বিনোদ শুক্লা।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার নির্দেশিকা এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) জারি করে উত্তরাখণ্ড সরকার জানায়, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বহিরাগতদের চার ধাম দর্শনের অনুমতি দেওয়া হবে না। শুধুমাত্র যে জেলায় চার ধাম অবস্থিত, সেখানকার বাসিন্দারা যেতে পারবেন। সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত দর্শনের অনুমতি দেওয়া হয়। প্রতিদিন বদ্রীনাথে সর্বাধিক ১,২০০ জন, কেদারনাথে ৮০০ জন, গঙ্গোত্রীতে ৪০০ জন এবং যমুনোত্রীতে ৪০০ জনকে যেতে দেওয়া হবে। পুরোহিতদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। যদিও শেষপর্যন্ত পুরোহিতরাই বেঁকে বসলেন।