বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Uttarakhand violence: বেআইনি মাদ্রাসা ভাঙতেই হিংসা উত্তরাখণ্ডে, জ্বালানো হল থানা, দেখলেই গুলির নির্দেশ
পরবর্তী খবর
Uttarakhand violence: বেআইনি মাদ্রাসা ভাঙতেই হিংসা উত্তরাখণ্ডে, জ্বালানো হল থানা, দেখলেই গুলির নির্দেশ
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 08 Feb 2024, 10:59 PM ISTAyan Das
হিংসা ছড়াল উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালের হলদোয়ানিতে। জ্বালানো হল থানা। সরকারি আধিকারিক এবং পুলিশ অফিসারদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। থানায় ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। আর সেই যাবতীয় হিংসার সূত্রপাত হয় বেআইনি মসজিদ ভাঙা ঘিরে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
আগুন জ্বলছে উত্তরাখণ্ডে, ছোড়া হচ্ছে পাথর।
সরকারি জমিতে মাদ্রাসা ও মসজিদের মতো কাঠামো ভাঙা নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালের হলদোয়ানিতে। পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে উন্মত্ত জনতা। পাথরের ঘায়ে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১২ জন পুলিশ অফিসার এবং জেলা প্রশাসনের আধিকারিক। সরকারি গাড়ি এবং ব্যারিকেডে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় থানা ঘেরাও করে সেখানেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় পুলিশ। যারা হিংসা ছড়িয়েছে, তাদের দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ জারি করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ড পুলিশের মুখপাত্র নীলেশ আনন্দ ভারনে জানিয়েছেন, আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে আধা-সামরিক বাহিনী পাঠানো হচ্ছে।
কীভাবে হিংসা ছড়িয়েছে?
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আচমকা যে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে চাওয়া হয়েছিল, তা মোটেও নয়। নোটিশ জারি করা হয়েছিল। সময় দেওয়া হয়েছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। স্থানীয় প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিক রিচা সিং জানিয়েছেন যে হলদোয়ানিতে সরকারি জমিতে বেআইনিভাবে তৈরি করা হয়েছিল মাদ্রাসা। সেইসঙ্গে আরও একটি কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল। যে কাঠামো দেখতে অনেকটা মসজিদের মতো। শনিবার রাতেই সেগুলি সিল করে দেওয়া হয়েছিল। সেগুলি ভাঙতে বৃহস্পতিবার আসে হলদোয়ানি পুরনিগম, জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের যৌথ দল।
তিনি জানিয়েছেন, যখন বেআইনি কাঠামো ভাঙতে যায় যৌথ দল, তখন হাঙ্গামা শুরু করে একদল উত্তেজিত জনতা। যৌথ দলের সদস্যদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। তার জেরে কমপক্ষে ১২ জন আধিকারিক আহত হয়েছেন। একাধিক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় থানা ঘিরে ফেলে তাতেও আগুন ধরিয়ে দেয় একদল উত্তেজিত জনতা। কতগুলি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেটা এই মুহূর্তে বলা কঠিন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলার অন্যান্য থানা থেকে বাড়তি পুলিশ বাহিনী আনা হয়। ইতিমধ্যে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে পাঠানো হচ্ছে আধাসামরিক বাহিনী।
ওই ঘটনার জেরে সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে যাতে কেউ ছেলেখেলা করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। সেইসঙ্গে এলাকায় যাতে শান্তি ও ঐক্য বজায় থাকে, তা নিশ্চিত করার জন্য রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যারা হিংসা ছড়াবে, তাদের দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য সরকার। নৈনিতালের জেলাশাসক বন্দনা জানিয়েছেন যে এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব রাস্তা।