আসন্ন উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে অখিলেশের ভোটে লড়াই করা নিয়ে জল্পনা ছিল বেশ কয়েকদিন ধরেই। শেষ পর্যন্ত যোগী আদিত্যনাথের চাপে বিধানসভা ভোটে ‘অভিষেকে’র সিদ্ধান্ত নেন সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো। আর নিজের রণক্ষেত্র হিসেবে কারহাল আসনটি বেছে নিয়েছিলেন চারবারের সাংসদ। সেই বিধানসভা আসনে আবার বিজেপির তরফে চমক দেওয়া হয়েছে। অখিলেশকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সেখানে লড়তে চলেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এসবি বাঘেল। এই আবহে বিরোধী ভোট কাটাকাটি রুখতে অখিলেশকে ‘উপহার’ দিল কংগ্রেস। কারহাল আসনে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিলেও শেষ মুহূর্তে সেই প্রার্থীকে মনোয়ন পেশ করা থেকে বিরত রাখা হল হাই কমান্ডের তরফে।
উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে সমাজবাদী পার্টির জোট না হলেও রায়বারেলি ও আমেথি আসন দু’টি ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ভোট পরবর্তী সম্ভাব্য সমীকরণের কথা মাথায় রেখেই সেই ‘উপহার’ ছিল বলে অনেকেরই মত ছিল। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস অখিলেশের জন্য কারহাল আসনটি ছেড়ে দেওয়া তা বেশ তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপিকে ঠেকাতে কংগ্রেস ও সাইকেল বাহিনী হাত মেলাতে পারে কিনা, তাই নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা। উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে বেশি সুবিধা করতে পারেনি সমাজবাদী পার্টি। ৪০৩ আসন বিশিষ্ট উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় তাদের ঝুলিতে এসেছিল মাত্র ৪৭টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র সাত। এরপর লোকসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টি বেছে নিয়েছিল অন্য সঙ্গী। তবে তাতেও বিজেপিকে ঠেকানো যায়নি। আর তাই এবার সমীকরণ বদলে নয়া সঙ্গী বেছেছেন অখিলেশ। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে বজায় রেখেছেন দূরত্ব।
এদিকে কংগ্রেসের তরফে কারহালে প্রাথমিক ভাবে প্রার্থী করা হয়েছিল জ্ঞানবতী দেবীকে। তবে তাঁর মঙ্গলবার মনোয়ন পেশের কথা থাকলেও হাই কমান্ডের তরফে তাঁকে মনোয়ন পেশ করতে বারণ করা হয়। উল্লেখ্য, কারহাল আসনটি মইনপুরী লোকসভার অন্তর্গত। এই লোকসভা আসনের সাংসদ অখিলেশের বাবা তথা সমাজবাদী পার্টির প্রাণপুরুষ মুলায়ম সিং যাদব। একমাত্র ২০০২ বাদে ১৯৯৩ সাল থেকে প্রতিবার কারহাল আসনটি থেকেছে সমাজবাদী পার্টির দখলে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির হাই প্রোফাইল কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে অখিলেশকে একাই লড়তে দিতে চায় কংগ্রেস।