ফের একবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিশানায় কমলা হ্যারিস। কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে মামলা দাবিও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বলছেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় কমলা হ্যারিস বেশ কয়েকজন শীর্ষ মার্কিন সেলিব্রিটিকে অর্থ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। এতে নির্বাচনী প্রচারণার অর্থনৈতিক আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। নিজের ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে এ কথা লিখেছেন ট্রাম্প। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ট্রাম্প নিজেই এই সময়ে এপস্টেইন মামলা নিয়ে বিতর্কে জর্জরিত। (আরও পড়ুন: হরিদ্বারের মনসা দেবীর মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ৬, গুরুতর আহত আরও অনেকে)
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে চাপাতির কোপ একদল নাবালকের, হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন
ট্রাম্পের অভিযোগ, গায়িকা বিয়ন্সে, টিভি উপস্থাপক ওপরাহ উইনফ্রে এবং নাগরিক অধিকার কর্মী আল শার্পটনের মতো সেলিব্রিটিদের সমর্থনের বিনিময়ে কমলা হ্যারিস কয়েক মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছেন। ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, 'আপনি কি কল্পনা করতে পারেন যে রাজনীতিবিদরা যদি তাদের সমর্থনকারী সকলকে অর্থ দেওয়া শুরু করেন তবে কী হবে? কমলা এবং যাঁরা টাকা নিয়েছেন, তাঁরা আইন ভেঙেছেন। তাঁদের সবার বিচার হওয়া উচিত।' (আরও পড়ুন: সংঘর্ষবিরতির জন্য ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পরও কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড সংঘাত তুঙ্গে)
আরও পড়ুন: বাংলায় SIR শুরুর আগেই উঠল গুরুতর অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টে বলা হল...
এর আগে সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার গ্রেফতারির এআই ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন ট্রাম্প। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগে ওবামা প্রশাসনের বিচার হওয়া উচিত বলে দাবি করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এর কয়েকদিন পর এই ভিডিয়োটি শেয়ার করা হল। এই নিয়ে তুলসি গ্যাবার্ড দাবি করেছিলেন, ১১৪ পৃষ্ঠার একটি ইমেলে দেখা গেছে, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ভুল ভাবে উপস্থাপন করেছিল গোয়েন্দা তথ্য, যাতে মনে হয় রাশিয়া চায় ট্রাম্প নির্বাচনে জয়ী হন। এই নিয়ে তুলসি বলেন, 'আমেরিকানরা অবশেষে এই সত্যটি জানতে পারবে যে, ২০১৬ সালে ওবামা প্রশাসনের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন।' তুলসি বলেছিলেন, 'তারা যতই শক্তিশালী হোক না কেন, এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত প্রত্যেক ব্যক্তির তদন্ত করতে হবে এবং আইনের সর্বোচ্চ পরিধিতে তাদের বিচার করতে হবে।' আর এবার কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন ট্রাম্প।