স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী। জ্যোতির্মঠের শঙ্করাচার্য। তিনি শিবসেনা নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বাড়িতে গিয়েছিলেন। উদ্ধবের বাসভবন মাতশ্রীতে যান তিনি। সেখানে তিনি পুজোপাঠেও অংশ নেন।
মিডিয়ার সামনে তিনি বলেন, উদ্ধব ঠাকরে হলেন বিশ্বাসঘাতকতার শিকার। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসঘাতকতা হল পাপ।
তিনি বলেন, উদ্ধব ঠাকরে প্রতারিত হয়েছেন। আমি তাঁকে বলেছি তাঁর প্রতি যে বিশ্বাসঘাতক আচরণ করা হয়েছে তাতে আমরা কষ্ট পেয়েছি। তিনি মহারাষ্ট্রের মুখ্য়মন্ত্রীর পদে ফের না বসা পর্যন্ত আমাদের যন্ত্রণা কমবে না।
শঙ্করাচার্য জানিয়েছেন, যে ব্যক্তি প্রতারণা করেছেন তিনি হিন্দু হতে পারেন না। আর যিনি সহ্য় করেছেন তিনি হলেন হিন্দু। মহারাষ্ট্রের মানুষ জানেন উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে কী হয়েছে আর এবারের লোকসভা ভোটে তার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। কোনও সরকারের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার আগে তাকে ফেলে দেওয়াটা ঠিক নয়। এটা হল জনাদেশকে অপমান করা।
তবে এর সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন তিনি রাজনৈতিক কথাবার্তা বলছেন না। মূলত তিনি বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে মন্তব্য করছেন। তিনি বলেন, রাজনীতি নিয়ে আমাদের করার কিছু নেই। আমরা বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে কথা বলছি, এটা আমাদের ধর্মে পাপ। আমরা সনাতন ধর্মের উপাসক। আমাদের ধর্মে পাপ ও পূণ্য আছে।
এদিকে তিনি সহ আরও তিনজন শঙ্করাচার্য এর আগে অযোধ্য়ায় রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যেতে চাননি।
এদিকে দিল্লিতে গত ১০ জুলাই একটি কেদারনাথ মন্দিরের শিলান্যাস করেছিলেন উত্তরাখণ্ডের সিএম পুষ্কর সিং ধামি। সেই প্রসঙ্গে শঙ্করাচার্য বলেন, কেদারনাথের ঠিকানা তো হিমালয়ে। সেটা দিল্লিতে হল কীভাবে? কেন মানুষকে এমন দ্বিধার মধ্যে ফেলছেন?