মহাদেব বেটিং অ্যাপ কাণ্ডে এবার ভ্রমণ সংস্থা 'ইজি মাই ট্রিপের' অফিস-সহ ৫০টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জানা গেছে, বুধবার গুরুগ্রামের ইজি মাই ট্রিপের অফিসে তল্লাশি চালিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। অন্যদিকে, মহাদেব অনলাইন গেমিং অ্যাপ কেলেঙ্কারি সঙ্গে ইজি মাই ট্রিপের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে সংস্থা। (আরও পড়ুন: 'নকল ইমামদের কি ইমামি বলা যায়?' মমতার বৈঠকের ছবি দিয়ে প্রশ্ন BJP নেতার)
আরও পড়ুন-China on 245% US Tariff: শুল্ক খেলায় গুরুত্ব নয়!ট্রাম্পের মিসাইলের পাল্টা প্রতিক্রিয়া চিনের
জানা গেছে, বুধবার মহাদেব বেটিং অ্যাপের মাধ্যমে টাকা নয়ছয়ের ঘটনায় মুম্বই, দিল্লি, চণ্ডীগড়, আহমেদাবাদ, ইন্দোর, জয়পুর, চেন্নাই এবং ওড়িশার সম্বলপুরে তল্লাশি চালায় ইডি।একই সঙ্গে নিশান্ত পিত্তির 'ইজি মাই ট্রিপের' অফিসেও হানা দেন তদন্তকারীরা।যদিও এই অভিযানে ইডি সন্দেহজনক কিছু পায়নি। তবুও অফিসের পুরো রেকর্ড খতিয়ে দেখা হয়েছে। এরপরেই এক বিবৃতি জারি করে ভ্রমণ সংস্থা স্পষ্ট করেছে, 'মহাদেব বেটিং অ্যাপ বা অন্য কোনও বেটিং প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে ইজি মাই ট্রিপের কোনও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্পর্ক নেই। তবে সংস্থা ইডি কর্মকর্তাদের পূর্ণ সহযোগিতা করেছে। আমরা তদন্তে আরও সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।' (আরও পড়ুন: '১.৩ মিলিয়নের ভারতীয় সেনা...', কাশ্মীর নিয়ে বড় দাবি পাক সেনা প্রধানের)
২০০৮ সালে ৩ ভাই পিত্তি ভাই নিশান্ত, রিকান্ত এবং প্রশান্ত একসঙ্গে 'ইজি মাই ট্রিপ' নামে অনলাইন ভ্রমণ সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন। তবে সংস্থাটির বিরুদ্ধে মহাদেব বেটিং অ্যাপের সাথে সম্পর্ক থাকার অভিযোগ রয়েছে। তবে গত বছর ৩১ ডিসেম্বর নিশান্ত ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে সংস্থার সিইও পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা করেন। সিইও পদ থেকে পদত্যাগ করা সত্ত্বেও পিত্তি চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, যেখানে তিনি কৌশলগত উদ্যোগগুলিতে মনোনিবেশ করবেন এবং কোম্পানির বৃদ্ধির গতির ওপর নজর দেবেন। তবে এবার এই সংস্থাটির বিরুদ্ধে মহাদেব বেটিং অ্যাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।এই মামলায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোট চারটি চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ২,৪২৬ কোটি টাকার সম্পত্তি সংযুক্ত, বাজেয়াপ্ত করা।
আরও পড়ুন: মন্দিরের সামনে থেকে ষাঁড় চুরি রুখতে গিয়ে 'খুন' পুলিশের চালক, জখম ২ পুলিশকর্মী
মহাদেব অনলাইন বুক নামে অনলাইন লটারি সংস্থার কারচুপি নিয়ে তদন্ত করছে ইডি। এই কারচুপির নেপথ্যে রয়েছেন সৌরভ চন্দ্রকর এবং রবি উপ্পল। গোটা দুনিয়ায় সক্রিয় তাদের এই অনলাইন বেটিং চক্র।সংস্থার সদর দফতর দুবাইয়ে। সেখানে বসেই সারা দুনিয়ায় কাজ চলত। ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কাতেও রয়েছে সংস্থার জাল। সেখানে বসেও গ্রাহকেরা অনলাইনে বেটিং করেন।সৌরভ এবং রবির দু’জনেই ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা। এক সময় দু’জনেই ছিলেন নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের। ইতিমধ্যে এই মামলায় ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল-সহ বেশ কয়েকজন তর্কতার নাম জড়িয়েছে।