সন্ত্রাসবাদে মদত নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সামনে ফের একবার মুখ পুড়ল পাকিস্তানের। এবার বিবিসির সাংবাদিকের করা প্রশ্নের উত্তরে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ দাবি করলেন, যাদেরকে সন্ত্রাসবাদী বলা হয় তারা এখনও পাকিস্তানে থাকে, তবে তারা আর সন্ত্রাসবাদে যুক্ত নয়।
পাকিস্তানে বিবিসির সাংবাদিক আজাদেহ মোহশিরি প্রশ্ন করেন, আপনি দাবি করছেন কোনও জঙ্গিসংগঠনের কোনও নেতা পাকিস্তানে বসবাস করছেন না? জবাবে বেশ কয়েকবার, ‘না’ বলতে শোনা যায় খাজা আসিফকে। আপনারা কি জইশ এ মহম্মদের মতো কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের ওপর নজরদারি চালাচ্ছেন? জবাবে খাজা আসিফ বলেন, ‘এগুলো আমাদের অতীতে হত।’ তখন বিবিসির সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, আপনারা তা জানলেন কী করে? কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক রিপোর্টও বলছে এই সংগঠনগুলি বৈধ ব্যবসা করে তহবিল সংগ্রহ করছে। জবাবে খাজা আসিফ বলেন, আমাকে একটা প্রশ্ন করতে দিন। আটের দশকে এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গী ছিল। আমাকে যে প্রশ্নটা তাড়া করে বেড়ায়, যারা আমাদের দায়ী করছে তারা এখন ধোয়া তুলসি পাতা, আর আমাদের হাতে যত কাদা? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বারবর এই নিয়ে দায়ী করতে থাকে। কিন্তু কে ঠিক করে যে কে সন্ত্রাসবাদী আর কে নয়।
তখন মোহশিরি প্রশ্ন করেন তার মানে এই সংগঠনগুলির নেতারা এখনও এখানে বসবাস করেন, কিন্তু পাকিস্তান মনে করে এটা কোনও সমস্যাই নয়… সাংবাদিককে থামিয়ে খাজা আসিফ বলেন, এখানেও একই পরিস্থিতি। এই নেতারা এখনও বেঁচে আছেন, তারা মারা যাননি। কিন্তু তারা এখন পাকিস্তান, ভারত বা অন্য কোনও দেশে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত নন।
বিবিসির তরফে জানানো হয়েছে ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর এই ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে। বলে রাখি, এর আগে ‘পাকিস্তান রাষ্ট্রনীতির অংশ হিসাবে সন্ত্রাসবাদে মদত দিত’ বলে নিজের দেশের মুখ পুড়িয়েছিলেন খাজা আসিফ। এই সাক্ষাৎকার সেই হৃত ভাবমূর্তি উদ্ধারের ব্যর্থ চেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে।