ব্যক্তি আলাদা, ভোটার আলাদা, স্থান আলাদা। তা সত্ত্বেও দু'জন বা তারও বেশি ভোটদাতা তথা নাগরিকের ভোটার কার্ডের একই নম্বর (এপিক নম্বর)! সম্প্রতি এই সমস্যা নিয়ে সুর সপ্তমে তুলেছিল বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস-সহ অবিজেপি রাজনৈতিক দলগুলি। প্রথমে এই অভিযোগকে আমল না দিলেও পরেও ত্রুটি স্বীকার করে নির্বাচন কমিশন এবং তিনমাসের মধ্যেই সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয়। তাদের দাবি, সেই সমস্যার সমাধান পথ তারা পেয়ে গিয়েছে!
কী বলছে নির্বাচন কমিশন? তাদের তরফে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এবার থেকে যে ভোটারদের কাছে একই এপিক নম্বর বিশিষ্ট ভোটার কার্ড থাকবে, তাঁদের নতুন নম্বর প্রদান করার পাশাপাশি নতুন ভোটার কার্ডও দেওয়া হবে।
আজ (মঙ্গলবার - ১৩ মে, ২০২৫) এই প্রসঙ্গে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এটি প্রায় ২০ বছরের পুরোনো একটি সমস্য়া। কমিশনের দাবি, একই এপিক নম্বর রয়েছে, কিন্তু ভোটার কার্ড আলাদা, এমন ভোটারের সংখ্যা খুবই কম। গড় হিসাব দেখলে, চারটি ভোটকেন্দ্রে নাকি এমন একজনকেই পাওয়া যাবে।
আরও দাবি করা হচ্ছে, বিষয়টি নিয়ে একেবারে মাঠে নেমে পর্যালোচনা করেছে কমিশন। তাতে জানা গিয়েছে, একই এপিক নম্বর থাকা সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্র ও বিভিন্ন বুথের সংশ্লিষ্ট ভোটাররা আদতে সকলেই আসল ভোটদাতা।
কমিশন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হওয়ার পর দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এছাড়াও, সারাদেশে ৪, ১২৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের ১০.৫০ লক্ষ পোলিং স্টেশনের ৯৯ কোটিরও বেশি ভোটারের সম্পূর্ণ নির্বাচনী তথ্যভাণ্ডার খতিয়ে দেখেন ইলেক্ট্রোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসাররা।