ইজরায়েলের 'বাবা' মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।এভাবেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা নিশানা করেছে ইরান।পশ্চিম এশিয়ায় ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হলেও বাকযুদ্ধ চলছেই। এরমধ্যেই ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের উদ্দেশে অপমানজনক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এনিয়ে ক্ষুব্ধ ইরান। ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির দাবি, চাপে পড়লে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য ছাড়া ইজরায়েল অচল। ইরান-ইজরায়েল সংঘাতের আবহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশ তারই প্রমাণ। (আরও পড়ুন: '... অবিলম্বে সব আলোচনা বন্ধ করছি', নতুন 'শুল্ক যুদ্ধের' ঘোষণা ট্রাম্পের)
আরও পড়ুন: 'NRC' নিয়ে চর্চার মাঝে আধার নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, মাথায় হাত পড়বে কাদের?
শনিবার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ইরানের বিদেশমন্ত্রী লেখেন, 'প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি মনেপ্রাণে চুক্তি করতে চান, তাহলে তাঁকে আয়াতোল্লা আলি খামেনেইর প্রতি অসম্মানজনক ভাষা ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে এবং তাঁর কোটি ভক্তের অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।’ হুঁশিয়ারির সুরে তিনি আরও বলেন, 'যদি কারও আমাদের ক্ষমতা ঠিক কতটা, সেই ধারণা না থাকে, তাহলে আমরা তাকে সেটা স্পষ্ট টের পাইয়ে দেব। তাতেই সমস্ত বিভ্রমও ভেঙে যাবে।' আব্বাস আরাগচি বলেন, 'ইরানের জনগণ আজ দেখিয়ে দিয়েছে যে, ইজরায়েলের দৌড়ে বাবার কাছে পালানো ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না।' তাঁর কথায় তেল আভিভ যেন একটা বিষয় মাথায় ঢুকিয়ে নেয়-তেহরান প্রয়োজনে তার ‘আসল শক্তি’ দেখাতে পিছপা হবে না।' সংঘর্ষ বিরতির আবহে ইরানের এহেন মন্তব্য নিঃসন্দেহে উদ্বেগের বিষয়। (আরও পড়ুন: ইউনুসের 'মাতব্বরির মাশুল', ভারতের নিষেধাজ্ঞায় আরও চাপে বাংলাদেশ)
আরও পড়ুন: অপারেশন সিঁদুরে ছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, RAW-এর পরবর্তী সচিব এই IPS অফিসার
ট্রাম্প অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি খামেনেই-কে রুখে দিতে পারতেন কিন্তু ইজরায়েল ও মার্কিন সেনা বাহিনী সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে।ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প জানান, 'আমি ঠিক জানতাম, তিনি কোথায় আশ্রয় নিয়েছেন। আমি ইজরায়েলকে ও যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনীকে তাঁর জীবন শেষ করতে দিইনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি তাঁকে এক সহিংস ও অপমানজনক মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছি। তাঁর আমাকে ধন্যবাদ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলার দরকার নেই... কিন্তু কৃতজ্ঞতাটুকু দেখাতে পারত!’ ট্রাম্পের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই ট্রাম্পকে সতর্ক করল ইরান।ইরান জানিয়েছে, আপাতত কোনও পরমাণু আলোচনায় তারা আগ্রহী নয়। ট্রাম্প আগামী সপ্তাহেই আলোচনার দাবি করছেন। কিন্তু তা খারিজ করে দিয়েছে তেহরান।
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানের আলোচনার মাঝেই সেখানে হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল। টানা ১২ দিন দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলেছে। গত সপ্তাহে যুদ্ধে যোগ দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। ইরানের তিনটি পরমাণুকেন্দ্র লক্ষ্য করে তারা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। তারপরেই ট্রাম্প দাবি করেন, দুই দেশ সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়েছে। যুদ্ধ থেমেছে।