শেফালি জারিওয়ালার আকস্মিক মৃত্যুতে অভিনেত্রীর অনুরাগী, বন্ধুবান্ধব এবং পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। এদিকে অভিনেত্রীর মা ও স্টেজ ফোর ক্যানসারে আক্রান্ত বাবা বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে তাঁর মেয়ে আর এই পৃথিবীতে নেই। গতকাল রাতে ৪২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শেফালি। তবে মৃত্যুর কারণ এখনও পর্যন্ত পরিবারের তরফে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে শেফালি জারিওয়ার মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে নেমেছে ফরেন্সিক দল ও মুম্বই পুলিশ। অভিনেত্রীর সম্পর্কে তার বন্ধুরা লিখছেন, যে তিনি একজন প্রাণবন্ত মানুষ ছিলেন। তবে জানেন কি, শেফালি বাচ্চাদের ভীষণ পছন্দ করতেন এবং নিজেও বহুবার মা হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন মা হতে চেয়েছিলেন শেফালি জারিওয়ালা। অভিনেত্রী ও তাঁর স্বামী পরাগ একটি কন্যা সন্তান দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। খুব ছোটবেলা থেকেই তাঁর মাথায় সন্তান দত্তক নেওয়ার এই ধারণা ছিল বলে জানিয়েছেমন তাঁর বাবা। কিন্তু এই দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া এত দীর্ঘ ছিল যে, আর জীবিত থাকা অবস্থায় তাঁর এই ইচ্ছা পূরণ হল না।
শেফালি তার সাক্ষাৎকারে আরও বলেছিলেন যে তাঁর বাবা চেয়েছিলেন যে সন্তান দত্তক নেওয়ার আগে তিনি নিজেই যেন প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। এরপর তিনি যেন আরও একটি সন্তান দত্তক নেন। এক সাক্ষাৎকারে সন্তান দত্তক নেওয়ার পর বাবা ও স্বামীর প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছিলেন শেফালি।
অভিনেত্রী বলেন, ‘ওকে (বাবাকে) রাজি করানো সহজ ছিল না। আমার বাবা বলেছিলেন যে আমার প্রথম সন্তানটি আমার নিজের হওয়া উচিত। তারপর আমি আরও একটি শিশুকে দত্তক নিতে পারি। আমি পরাগকে বলেছিলাম যে আমি একটি শিশুকে দত্তক নিতে চাই যাতে তাঁকে আরও ভাল ভবিষ্যৎ উপহার দেওয়া যায়। যখন আমি পরাগকে একথা বলেছিলাম, ও রাজি হয়েছিল এবং জানিয়েছিল যে এই সিদ্ধান্তে ও আমার পাশে আছে।’
শেফালি আরও প্রকাশ করেছিলেন যে তিনি দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন তবে এটি দুই থেকে তিন বছর সময় নিতে পারে। তাঁর কথায়, 'ভারতে দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া এত সহজ নয়। আমরা প্রক্রিয়া শুরু করেছিলাম, কিন্তু লকডাউনের কারণে তা থমকে গিয়েছিল। দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়াটি সাধারণত দুই থেকে তিন বছর সময় নেয়। শেফালিকে প্রায়ই শিশুদের সঙ্গে ছবি শেয়ার করতে দেখা যেত। তিনি ভীষণভাবেই মা হতে চেয়েছিলেন। তবে তাঁর আর সেই ইচ্ছা পূরণ হল না।