অভিনেতা শেফালি জরিওয়ালার মৃত্যু ইন্ডাস্ট্রি এবং ভক্তদের দারুণ শক দিয়েছে। ৪২ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী শুক্রবার রাতে মারা যান এবং মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক কারণ ঘোষণা করা না হলেও, কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে তাঁর কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যু হয়েছে। তবে স্বাভাবিক কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে মনে হলেও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মুম্বই পুলিশ। জানুন কেন!
শেফালি জরিওয়ালার মৃত্যু ও পুলিশি তদন্ত
শুক্রবার রাতে শেফালি তার আন্ধেরির বাড়িতেই মারা যান বলে জানা গেছে। তাঁকে তাঁর স্বামী পরাগ ত্যাগী বেলভিউ মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে সেখানে মৃত ঘোষণা করেন। শুক্রবার গভীর রাতে মুম্বই পুলিশ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলেও এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ প্রকাশ করেনি। শনিবার সকালে অভিনেতার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুপার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপরই মুম্বই পুলিশের মেডিক্যাল ও ফরেনসিক দল তদন্তের জন্য শেফালির বাড়িতে পৌঁছয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্ত না হওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ জানা যাবে না বলে এটাকে রুটিন তদন্ত হিসেবেই দেখছেন তাঁরা। যদিও কেউ ষড়যন্ত্রের সন্দেহ প্রকাশ করেনি, পুলিশের তরফে তাও সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ফরেনসিক টিম শেফালি ও পরাগের আন্ধেরির বাড়িতে প্রমাণ সংগ্রহ করছে। অভিনেতার রাঁধুনি সহ বাড়ির কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তাঁরা। শনিবার সকাল থেকেই শেফালির পরিবার ও বন্ধুরা কুপার হাসপাতালে ছিলেন। পরাগ বা পরিবারের কোনও সদস্য তার মৃত্যুর পরিস্থিতি সম্পর্কে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করেননি।
শেফালি কে ছিলেন?
শেফালি ২০০২ সালে তাঁর মিউজিক ভিডিয়ো কাঁটা লাগার সাফল্যের সাথে রাতারাতি তারকা হয়ে ওঠেন। তিনি পরবর্তী দুই দশক ধরে বিক্ষিপ্তভাবে চলচ্চিত্র এবং টিভি শোতে কাজ করেছেন, তবে মঞ্চে নিয়মিত অভিনয়শিল্পী ছিলেন। পরাগ এবং শেফালি ২০১৪ সাল থেকে বিবাহিত।