হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৩৯ ওভার পর শার্দুল ঠাকুরকে প্রথমবার বল তুলে দেন অধিনায়ক শুভমন গিল। প্রথম স্পেলে মাত্র ৩ ওভার করেই তাঁকে তুলে নেওয়া হয় এবং ২২ ওভার পরে অন্য প্রান্ত থেকে আবার আক্রমণে আনা হয়। দ্বিতীয় স্পেলে কিছুটা মিতব্যয়ী ছিলেন তিনি – ১৫ রান দিলেও কোনও উইকেটের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারেননি। প্রথম ৩ ওভারে তিনি দিয়েছিলেন ২৩ রান। গোটা ব্যবহারে মনে হয়নি ভারতীয় দল তাঁকে উইকেট নেওয়ার বিকল্প হিসেবে দেখছে। মাত্র ৬ ওভারে ৩৮ রান, চতুর্থ পেসারের এমন পরিসংখ্যান সেই সময় যখন প্রতিপক্ষ করেছে ৪৬৫ রান, মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।
দ্বিতীয় ইনিংসেও খুব একটা উন্নতি হয়নি। এবার তুলনায় একটু আগে, ১৯তম ওভারে বল হাতে পেলেও মাত্র ১০ ওভার করানো হয় তাঁকে, এমন সময় যখন ভারত পঞ্চম দিনে ব্রিটিশ ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিল না। কেউ কেউ বলছেন, দ্বিতীয় সেশনে দুইটি ভাগ্যবান ব্রেক না পেলে হয়তো এতটুকুও বল করতেন না।
ভারতের প্রাক্তন অলরাউন্ডার রবিচন্দ্রন অশ্বিন মনে করছেন, শার্দুলকে সবচেয়ে ভালো ব্যবহার করা যেত যখন জো রুট ব্যাট করছিলেন। কারণ ২০২১ সালে রুটকে দুবার আউট করেছিলেন শার্দুল, সেই ‘ডিসেন্ট ম্যাচ-আপ’ রয়েছে তাঁর।
অশ্বিন নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আরও বলেন, ‘তুমি শার্দুল ঠাকুরকে দলে নিয়েছো কিন্তু তাঁকে ৪০ ওভারও বল করালে না। আর সেই সময়তো জো রুট ব্যাট করছিল। শার্দুলের ওর বিরুদ্ধে ভালো রেকর্ড আছে। যদি শার্দুল ঠাকুরের ভূমিকা কম না হয়, তাহলে আমি শার্দুলকে একজন প্রকৃত ক্রিকেটার হিসেবে অনেক শ্রদ্ধা করি।’
অশ্বিন আরও বলেন, শার্দুলের বল করানোর সময় ও পরিমাণ সঠিক ছিল না বলেই তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা করা অন্যায্য। অশ্বিন বলেন, ‘দ্বিতীয় ইনিংসেও সে তেমন বেশি বল করেনি। অবশ্যই প্রথম ইনিংসের চেয়ে একটু বেশি। তবে ওর ভূমিকা ছিল খুব সীমিত, আর আমি মনে করি তার উপর প্রশ্ন তোলা খুব একটা সুবিচার হবে না।’
দ্বিতীয় টেস্টে শার্দুলের জায়গা অনিশ্চিত
ভারত যদি কোনও সরাসরি বোলারকে একাদশে আনে, তাহলে শার্দুলের জায়গা খোয়া যেতে পারে। তাঁর জায়গায় কুলদীপ যাদব সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন, যিনি একজন বাঁ-হাতি চাইনাম্যান (রিস্ট স্পিনার)। আর একদিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে জসপ্রীত বুমরাহের খেলা বা না খেলা। প্রথম টেস্টে ৪৪ ওভার বল করার পর দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর খেলার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
অশ্বিন বলেন, ‘ভারতীয় দল দ্বিতীয় টেস্টে যাবে। বুমরাহ খেলবেন কি না, সেটা একটা প্রশ্ন। তবে ভারত ভাববে, এই টেস্টেই যদি এগিয়ে যাওয়া যায়, তাহলে সেটাই সেরা সুযোগ। বুমরাহ খেলেছেন, দুর্দান্ত বল করেছেন। যদি এখানে ১-০ এগিয়ে যাওয়া যেত, তাহলে পরের ম্যাচে বিশ্রাম দিলেও চলত। কিন্তু এখন সেটা আর সম্ভব নয়।’