ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করায় এক মহিলার বিরুদ্ধে পুলিশকে অভিযোগ দায়েরের নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, মহিলাদের যে বিশেষ আইনি সুযোগ – সুবিধা দেওয়া হয়েছে তা তারা ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে পুরুষের বিরুদ্ধে তরোয়ালের মতো ব্যবহার করতে পারেন না। এই ধরণের অভিযোগে অভিযুক্তের সামাজিক সম্মান ও সামাজিক অসবস্থানে গভীর প্রভাব ফেলে।
আরও পড়ুন - নীতি আয়োগের বৈঠকে নিয়ম ভেঙে মমতাকে আগে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল
পড়তে থাকুন - পশ্চিমবঙ্গ থেকে যে কর সংগ্রহ হয় তার দ্বিগুণ টাকা ফেরত পাঠায় কেন্দ্র
এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৪ জুলাই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। এর পর জামিন চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। যদিও ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে বয়ান দিয়ে অভিযোগকারিনী জানান তিনি স্বেচ্ছায় ওই ব্যক্তির সঙ্গে হোটেলে গিয়েছিলেন ও অভিযুক্তের সঙ্গে সহমতির ভিত্তিতে যৌনতায় লিপ্ত হন। তিনি জানান, অভিযুক্তের সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় রাগে তিনি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন।
আদালত জানিয়েছে, মহিলাদের যে আইনি বিশেষাধিকার দেওয়া হয়েছে তা ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে অপব্যবহার করা উচিত নয়। এই প্রবণতা সমাজে ক্রমশ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি।
তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ শুধু অভিযুক্তের জীবন নষ্ট করে না, তার পরিবারের সামাজিক সম্মান ও সামাজিক অবস্থান ক্ষতিগ্রস্ত করে।
বিচারপতি বলেন, ‘আমাদের দেশে পুরুষদের সমান আইনি সুরক্ষা পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। তবে মহিলাদের কিছুক্ষেত্রে আইনি বিশেষাধিকার রয়েছে। কিন্তু এই বিশেষাধিকারকে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার কাজে ব্যবহার করা যায় না।’
আরও পড়ুন - BJPকে ভোট দিলে শেষকৃত্যে অংশগ্রহণ করবেন না বলে মুসলিমদের হুমকি দিয়েছেন ইমামরা
এর পরই দিল্লি পুলিশকে মিথ্যা অভিযোগকারী মহিলার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেয় আদালত। মহিলার ভুয়ো অভিযোগের জন্য পুরুষটিকে ১০ দিন জেলবন্দি থাকতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন বিচারপতি। পুলিশেরও ধর্ষণের মামলায় কাউকে গ্রেফতার করার আগে প্রাথমিক তদন্ত করা উচিত বলে জানিয়েছে আদালত।