ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি হতেই উত্তর ও পশ্চিম ভারতের ৩২টি বিমানবন্দর পুনরায় চালু করার ঘোষণা করেছে এয়ারপোর্ট অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া। গত ৯ মে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষের আবহে দেশের ৩২টি বিমানবন্দর বন্ধ রাখার সময়সীমা ১৫ মে ভোর ৫টা ২৯ মিনিট পর্যন্ত বাড়িয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। এর আগে পাক সীমান্তের কাছাকাছি অথবা গুরুত্বপূর্ণ সেনা ঘাঁটির কাছে অবস্থিত ২৪টি বিমানবন্দর ১০ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগেই খুলে গেল ৩২টি বিমানবন্দর।
জানা গেছে, এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া নোটিশ টু এয়ারমেন ইস্যু করেছে, যাতে দেশের উত্তর ও পশ্চিম অংশে থাকা ৩২টি বিমানবন্দর খোলা খুলে দেওয়া হয়েছে। ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষের ঘটনায় ওই বিমানবন্দরগুলিতে অসামরিক বিমান ওঠানামা বন্ধ ছিল। সূত্রের খবর, ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার পরেই নোটাম জারি করা হয়েছে। আর এয়ারপোর্ট অথোরিটি অফ ইন্ডিয়ার ঘোষণার পরই চণ্ডীগড়ের শহিদ ভগৎ সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোমবার সকাল সাড়ে দশটা থেকেই বিমান পরিষেবা চালু হয়েছে। অন্যান্য বিমানবন্দরের পরিষেবাও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। এদিকে, এয়ারপোর্ট অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া বিমানের আপডেটের জন্য যাত্রীদের উড়ান সংস্থাগুলির ওয়েবসাইটগুলিতে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছে।
শনিবার বিকেল থেকে সংঘর্ষ বিরতি শুরু হয় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা পরেই একাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। শনিবার রাতেও উত্তপ্ত পরিস্থিতি ছিল জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজস্থানে। তিন রাজ্যের অধিকাংশ শহরে ব্ল্যাক আউট করা হয়। তবে রবিবার সকাল থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। রবিবার রাতে কোনও গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া যায়নি। আতঙ্কের ছায়া সরে দেশ চেনা পুরনো ছন্দে ফিরতেই বিমানবন্দরগুলিতে পরিষেবা স্বাভাবিক হল। এরমধ্যে রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেদন জানান, শ্রীনগর বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা চালু করার জন্য।শেষ পর্যন্ত ৩২ বিমানবন্দর চালু হওয়ায় ভোগান্তি শেষ হল যাত্রীদের।
প্রসঙ্গত, গত ৭ মে, ২০২৫ পাহেলগাঁওয়ে নারকীয় সন্ত্রাসবাদী হামলার জবাবে ভারতের অপারেশন সিঁদুর স্ট্রাইক পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি গুড়িয়ে দিয়েছিল। এই অভিযানে নিহত হয় ৮০-র বেশি জঙ্গি। এরপরেই ভারতের বিভিন্ন শহরে একযোগে ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান।তবে ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনার দ্রুত প্রতিক্রিয়ায় সন্ত্রাসবাদী অনুপ্রবেশ রুখে দেওয়া সম্ভব হয়।এই আবহে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৩২টি বিমানবন্দর ১০ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। পরে সময়সীমা বাড়ানো হয়।
বিমানবন্দরগুলির তালিকা:
১ আধমপুর
২ আম্বালা
৩ অমৃতসর
৪ অবন্তীপুর
৫ বাথিন্দা
৬ ভুজ
৭ বিকানের
৮ চণ্ডীগড়
৯ হালওয়ারা
১০ হিন্ডন
১১ জয়সলমীর
১২ জম্মু
১৩ জামনগর
১৪ যোধপুর
১৫ কান্ডলা
১৬ কাংড়া (গাগল)
১৭ কেশোদ
১৮ কিশানগড়
১৯ কুল্লু মানালি (ভুন্টার)
২০ লেহ
২১ লুধিয়ানা
২২ মুন্দ্রা
২৩ নালিয়া
২৪ পাঠানকোট
২৫ পাতিয়ালা
২৬ পোরবন্দর
২৭ রাজকোট (হিরাসার)
২৮ সারসাওয়া
২৯ সিমলা
৩০ শ্রীনগর
৩১ থোয়াইস
৩২ উত্তরলাই