রাহুল সিং
এতদিন মিগ-২১ বাইসন ওড়াতেন। এবার ওড়াবেন রাফাল যুদ্ধবিমান। প্রথম ভারতীয় মহিলা ফাইটার পাইলট হিসেবে সেই নজির গড়তে চলেছেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শিবাঙ্গী সিং। বুধবার একথা জানিয়েছেন ঘটনাপ্রবাহের সম্পর্কে অবহিত আধিকারিকরা।
বারাণসীর মেয়ে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শিবাঙ্গী আপাতত আম্বালা বায়ুঘাঁটিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। যেখানে আছে ভারতীয় বায়ুসেনার নয়া সদস্য রাফাল। আপাতত তাঁর কনভারশন ট্রেনিং চলছে। শীঘ্রই বায়ুসেনার ১৭ নম্বর স্কোয়াড্রন বা ‘গোল্ডেন অ্যারোজ’-এ যোগ দেবেন।
২০১৫ সালে মহিলা অফিসারদের কমব্যাট ভূমিকায় যোগ দেওয়ার পরীক্ষামূলক প্রকল্প শুরু করেছিল বায়ুসেনা। যা ভারতের সামরিক ইতিহাসে মাইকফলক হয়ে আছে। তারপর ১০ মহিলা অফিসারকে ফাইটার পাইলট হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। বায়ুসেনায় যে ১০ জন মহিলা ফাইটার পাইলট আছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শিবাঙ্গী। যিনি ২০১৭ সালে বায়ুসেনায় যোগ দিয়েছিলেন। নাম গোপন রাখার শর্তে আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগেও রাজস্থানের বায়ুঘাঁটিতে ছিলেন তিনি।

বায়ুসেনায় ৪,০০০-এ বেশি মহিলা অফিসার থাকলেও কমব্যাট ক্ষেত্রে তাঁরা যেতে পারতেন না। পরে অভ্যন্তরীণ বাধা কাটিয়ে মহিলা অফিসারদের সেই স্বপ্নপূরণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় বায়ুসেনা। যুদ্ধবিমানের পাইলট হিসেবে মহিলা অফিসারদের নিযুক্ত করা হয়। তবে ট্যাঙ্ক এবং সামরিক ক্ষেত্রে এখনও মহিলারা অনুমতি দেওয়া হয়নি। মেডিক্যাল ক্ষেত্রের বাইরে ১৯৯২ সালে প্রথমবার মহিলাদের সামরিক বাহিনীতে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
নব্বইয়ের দশকে গোড়ার দিকে বায়ুসেনার যোগ দেওয়া প্রথম ব্যাচের সদস্য তথা প্রাক্তন উইং কমান্ডার (অবসরপ্রাপ্ত) বলেন, 'দু'দশকের লড়াই একত্রিত হয়ে এই ঝড় উঠেছে। গত তিন বছরে অনেক কিছুর অগ্রগতি হয়েছে। আর এখন আমরা আরও একটি দরজা খুলে যেতে দেখছি। অত্যন্ত আনন্দিত যে বায়ুসেনা দ্বিধা বোধ করেনি এবং নিজেদের নয়া সদস্যকে শিবাঙ্গীর হাতে তুলে দিয়েছে। এগিয়ে যাও মেয়ে…গৌরবের সঙ্গে আকাশ ছুঁয়ে ফেল।'