এর আগে ভারতের অর্থনীতিকে 'মৃত' বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সময় ট্রাম্পকেই সমর্থন করেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তবে তাঁর সেই অবস্থানের সঙ্গে সহমত ছিলেন না তাঁরই দলের বহু সাংসদ। আর এবার ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির জবাবে সরকারের পাশে দাঁড়ালেন কেরলের সাংসদ এনকে প্রেমচন্দ্রন। এই আরএসপি নেতা বললেন, 'ট্রাম্পের হুমকির জবাবে ভারত যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তা ভালো।'
কেরলের কোল্লামের সাংসদ তথা আরএসপি নেতা এনকে প্রেনচন্দ্রন বলেন, 'আমেরিকান রাষ্ট্রপতি অযৌক্তিক দাবি করছেন। এটি আমাদের দেশের সার্বভৌম চরিত্রের প্রতি অপমান বলে মনে হচ্ছে। আমেরিকান রাষ্ট্রপতি কীভাবে এই সব বলতে পারেন? তিনি শুল্ক যুদ্ধের ভিত্তিতে সমগ্র বিশ্বকে নির্দেশ দিচ্ছেন। দুর্ভাগ্যজনক যে আমাদের এই নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাতে হচ্ছে। আমরা আমেরিকা বা অন্য কোনও দেশের অধীনস্থ নই। আমরা সকলেই সমান অংশীদার। এমন পরিস্থিতিতে, অবশ্যই ভারত সরকারকে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। চূড়ান্ত যে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে, তা ভালো... মিঃ প্রেসিডেন্টের এই সমস্ত মন্তব্য আমাদের সার্বভৌম চরিত্রের প্রতি অপমান।'
উল্লেখ্য, ট্রাম্প বারবার দাবি করে আসছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতিতে তিনি মধ্যস্থতা করেছেন। এরই মাঝে ট্রাম্পের 'বিবেক' আচমকা জেগে উঠেছে । এই আবহে ইউক্রেনের জন্য কাঁদতে কাঁদতে তিনি ভারতের ওপর শুল্ক চাপাচ্ছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনছে বলেই যুদ্ধ জারি আছে। এই আবহে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দ্বিচারিতাকে ছক্কা হাঁকিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে গতরাতেই। আমেরিকা যে নিজেরা রাশিয়ার থেকে খনিজ পদার্থ কেনে, সেই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যেনতেন প্রকারে ভারতের অর্থনীতিকে আঘাত করতে চাইছেন। এর আগে তিনি দাবি করেছিলেন, ভারতীয় অর্থনীতি নাকি 'মৃত'।
এই সবের মাঝে গতকাল প্রথমবারের মতো আমেরিকার শুল্ক হুমকির জবাবে কড়া প্রতিক্রিয়া দিল ভারত। বিদেশ মন্ত্রক এক দীর্ঘ বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, ভারতকে অকারণে নিশানা করা হচ্ছে। একদা আমেরিকাই চেয়েছিল যাতে ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনে। তাতে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এরই সঙ্গে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিচারিতা সামনে নিয়ে আসে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।