কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল তিনি নাকি আর স্বামীর সঙ্গে থাকতে চান না। তাই রুশ আদাতেই ডিভোর্সের মামলা ঠুকেছেন। কারণ, মস্কোর অতিথি আপ্যায়ন তাঁর পছন্দ হচ্ছে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব নিজের শহর লন্ডনে ফিরতে চান। আর এখন শোনা যাচ্ছে, সেই তিনিই নাকি আক্রান্ত লিউকেমিয়ায়!
যাঁর সম্পর্কে একথা বলা হচ্ছে, তিনি সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের স্ত্রী আসমা আল-আসাদ। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দাবি, তিনি লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং তাঁর বাঁচার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ। প্রসঙ্গত, লিউকেমিয়া হল এক ধরনের প্রাণঘাতী ক্যানসার। যা মূলত রক্ত এবং অস্থিমজ্জায় ছড়িয়ে পড়ে।
বিভিন্ন সূত্রের তরফে আরও দাবি করা হচ্ছে, এর আগেও ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন আসমা। ২০১৯ সালে ব্রেস্ট ক্যানসার হয়েছিল তাঁর। কিন্তু, একবছর ধরে টানা চিকিৎসার পর আসমা সেরে ওঠেন। তিনি নিজেই সেকথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু, তাঁর শরীরে কিছু সময় অন্তর ব্লাড ক্যানসার ফিরে এসেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সিরিয়ার সদ্য ক্ষমতাচ্যুত ফার্স্ট লেডি আসমা আল-আসাদ একজন সিরিয়ান বংশোদ্ভূদ ব্রিটিশ। বর্তমানে তাঁর কাছে ব্রিটেন এবং সিরিয়া - এই দুই দেশেরই নাগরিকত্ব রয়েছে। ১৯৭৫ সালে আসমার জন্ম হয়েছিল লন্ডনে। তাঁর বাবা ও মা দু'জনই সিরীয়।
আসমা তাঁর স্নাতকস্তরের পড়াশোনা করেছিলেন কিং'স কলেজ লন্ডন থেকে। তাঁর বিষয় ছিল, কম্পিউটার সায়েন্স এবং ফরাসী সাহিত্য। পরবর্তীকালে অবশ্য তিনি একজন ব্যাঙ্কার হিসাবে নিজের কর্মজীবন শুরু করেন।
২০০০ সালে বাশার আল-আসাদকে বিয়ে করেন আসমা। তারপর চলে আসেন সিরিয়ায়। সেখানেই এত দিন পর্যন্ত বিলাসবহু, বলা ভালো রাজকীয় জীবন যাপন করেছেন বাশাারের স্ত্রী। কিন্তু, সম্প্রতি বিদ্রোহীদের দাপটে বাশার ও আসমা এবং তাঁদের পরিবারের বাকি সদস্যরা সিরিয়া ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন ও মস্কোয় আশ্রয় নেন। প্রসঙ্গত, বাশার ও আসাদের তিন সন্তান রয়েছে। তার হল - হাফিজ, জেন এবং করিম।
এদিকে, কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল, সিরিয়ার রাজ্যপাট হাতছাড়া হতেই নাকি লন্ডনে ফেরার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেছেন আসমা। তিনি তাঁর তিন সন্তানকে সঙ্গে নিয়েই লন্ডনে ফিরতে চান বলে দাবি করা হচ্ছে।
এরই সঙ্গে, আসমা তাঁর স্বামী বাশারের থেকে আইনত আলাদা হতে চান এবং তার জন্য তিনি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও করেছেন বলে খবর সামনে আসে। কিন্তু, পরবর্তীতে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, 'বাস্তবে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি'। তবে, আসমা যে রাশিয়া ছেড়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ আবেদন জানিয়েছেন, তা রুশ প্রশাসন এখনও খতিয়ে দেখছে বলে দাবি করা হচ্ছে।