অগস্টের শেষেই চিন সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিকে, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে চলছে বাণিজ্য আলোচনা। অন্যদিকে, চিনের ওপর শুল্কের স্থগিতাদেশের মেয়াদ ট্রাম্প ৯০ দিন বাড়িয়েছেন এবং ইতিমধ্যেই ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে পরে আরও ২৫ শতাংশ শুল্কেপ কোপ তাতে যোগ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে বাণিজ্য আলোচনা সম্পর্কিত মার্কিন টিমের অগস্টের শেষের দিকে আসার কথা ছিল। তবে
পিটিআই শনিবার এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসারের বক্তব্য তুলে ধরে জানিয়েছে, প্রস্তাবিত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির জন্য পরবর্তী দফার আলোচনার জন্য অগস্টে ভারত সফরের কথা ছিল এমন একটি মার্কিন দল সম্ভবত পরবর্তী তারিখে বৈঠকটি পিছিয়ে দেবে। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে আলোচনার সময়সূচী ২৫-২৯ আগস্টের মধ্যে নির্ধারিত ছিল।
প্রস্তাবিত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি (বিটিএ) নিয়ে ভারত ও আমেরিকা এখন পর্যন্ত পাঁচ দফা আলোচনা করেছে। মার্কিন দল ষষ্ঠ দফার আলোচনার জন্য ভারত সফরে আসার কথা ছিল।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা পিটিআইকে জানিয়েছেন, এই সফর পুনর্নির্ধারিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।' মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর এটি এসেছে, যার মধ্যে রাশিয়ান তেল কেনার জন্য ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত যখন একটি বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট দুগ্ধ ও কৃষির মতো রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল ক্ষেত্রে বাজার অ্যাক্সেস বৃদ্ধির জন্য চাপ দিয়েছেন, বলেও খবর উঠে আসে।
( Pakistan Helicopter Crash: পাকিস্তানে ভেঙে পড়ল MI17 হেলিকপ্টার! মৃত একাধিক, কী ঘটেছে?)
তবে, ভারত জানিয়েছে যে তারা কৃষক এবং গবাদি পশুপালকদের স্বার্থের সাথে আপস করবে না এবং বলেছে যে তারা মার্কিন দাবি মেনে নেবে না কারণ এটি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জীবিকাকে প্রভাবিত করে। পিটিআই অনুসারে, উভয় দেশই এই বছরের মধ্যে বিটিএ-র প্রথম পর্যায় শেষ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ করে ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করছে, যা বর্তমান ১৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বৃদ্ধি পাবে।
( এই প্রতিবেদন মান্যতা নির্ভর। এর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।)