বিগত দিনে ক্রমেই দূরত্ব বেড়েছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের। বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেস ভাঙিয়েই নিজেদের ঘর সাজাচ্ছে তৃণমূল। এই আবহে কংগ্রেসকে একাধিকবার আক্রমণও শানায়ি ঘুসফিল শিবিরের নেতারা। স্বয়ং মমতা, অভিষেকের মুখে শোনা গিয়েছে কংগ্রেসকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য। তবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আবহে সেই সব ভুল বোঝাবুঝি ভুলে গিয়ে একজোট হওয়ার একটি বার্তা দিল কংগ্রেস। বিরোধী শক্তিদের এককাট্টা করতে উদ্যোগী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আগামী ১৫ জুন দিল্লিতে এনিয়ে যৌথ বৈঠক হতে পারে। সেখানে মূখ্য ভূমিকা নিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের কথা প্রকাশ্যে আসতেই বিবৃতি প্রকাশ করল কংগ্রেস।সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, এই বিষয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেছেন, ‘জাতি এবং জনগণের স্বার্থে আমাদের মত পার্থক্যের ঊর্ধ্বে ওঠার সময় এসেছে। আলোচনা হতে হবে খোলা মনে এবং এই চেতনার সাথে মিল রেখে। আমরা বিশ্বাস করি যে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কংগ্রেসের এই আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত।’ কংগ্রেসের তরফে আরও বলা হয়, ‘কংগ্রেস পার্টির অভিমত যে জাতির রাষ্ট্রপতি হিসাবে এমন একজন ব্যক্তিকে বর্তমানে প্রয়োজন, যিনি ক্ষমতাসীন দলের ক্রমাগত আক্রমণ থেকে সংবিধান, আমাদের প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিকদের রক্ষা করতে পারবেন। এটাই বর্তমান সময়ের প্রয়োজন।’ যদিও কংগ্রেস কোনও নির্দিষ্ট প্রার্থীর নাম এখনই প্রস্তাব করছে না বলে জানা গিয়েছে।উল্লেখ্য, বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলোকে একজোট করতে বিভিন্ন দলের ২২ নেতাকে চিঠি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের মধ্যে বিরোধী দল শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরাও রয়েছেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠি লিখেছেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে চিঠি গিয়েছে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের কাছেও।