পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা এবং পরবর্তীকালে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বেশ কিছু বিজেপি নেতার বিতর্কিত মন্তব্য দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। দলের নেতাদের এনিয়ে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এই বিষয়ে দলের নেতাদের অযথা কথা বলা এবং মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। তারপরেই ক্ষমা চাইলেন বিজেপি সাংসদ রামচন্দ্র জাংরা। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য বিকৃত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অপারেশন সিঁদুর ভারতীয় সেনাবাহিনীর দক্ষতার প্রতীক! মন কি বাতে কুর্নিশ মোদীর…
দিন কয়েক আগেই ভারতীয় সেনা অফিসার কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে নিয়ে কুমন্তব্য করে বিতর্কে জড়ান মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বিজয় শাহ। তিনি সোফিয়াকে সন্ত্রাসবাদীদের বোন বলে মন্তব্য করেন। এনিয়ে দেশজুড়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হতেই ক্ষমা চান বিজেপি নেতা। শেষ পর্যন্ত মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। এমন মন্তব্যের জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই জাংরা পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা নিয়ে মন্তব্য করে বসেন। তিনি বলেন, ‘পহেলগাঁওয়ে মহিলাদের (মহিলা পর্যটক) সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত ছিল এবং হামলায় স্বামী হারানো মহিলাদের বীরঙ্গনা হিসেবে আচরণ করা উচিত ছিল।তাহলে হতাহতের সংখ্যা কম হতো।’ তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। বিরোধীরা বিজেপিকে নারী বিদ্বেষী বলে অভিযোগ করে।
বিজেপি নেতাদের একেরপর এক বিতর্কিত মন্তব্য সামনে আসতেই রবিবার এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এনিয়ে সতর্ক করে বার্তা দেন, অযথা মন্তব্য থেকে দূরে থাকতে। পরে রবিবারই বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রামচন্দ্র জাংরা দাবি করেন, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা নিয়ে তাঁর মন্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। কাউকে অপমান করার কোনও ইচ্ছা তাঁর ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি আমার দেশের নারীদের কোনওভাবেই দুর্বল মনে করি না। আমরা পহেলগাঁওয়ে হামলায় স্বামী হারানো মহিলাদের পাশে আছি। আমরা সেই পরিবারের পাশে আছি। তবুও, যদি আমি কারও অনুভূতিতে আঘাত করে থাকি তাহলে ক্ষমা চাইতে আমার কোনও দ্বিধা নেই।’ একটি ভিডিয়ো বার্তায় তিনি এনিয়ে ক্ষমা চান।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার দেশের মহিলাদের সঙ্গে কোনওভাবেই বিদ্বেষমূলক আচরণ করি না। আমি বিশ্বাস করি তাঁরা সাহসী। দেশের বীরাঙ্গনাদের সম্মান করি এবং তাঁদের স্যালুট জানাই।’ অপারেশন সিঁদুর নিয়ে তিনি বলেন, ভারতের সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানকে এমন শিক্ষা দিয়েছে যা তারা কল্পনাও করতে পারেনি।