আফগানিস্তানে লুকিয়ে থাকা পাকিস্তানি তালিবানের আস্তানায় এয়ারস্ট্রাইক পাকিস্তানের। এই অভিযানে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর নিজেদের মাটিতে প্রতিবেশীদের এই হামলা হজম করতে পারছে না আফগান তালিবান। এহেন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিল তারা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার আফগানিস্তানে অবস্থিত একটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অভিযান চালায় পাকিস্তানি বায়ুসেনা। ইসলামাবাদের সূত্র দাবি করছে, সেই অভিযানে পাক তালিবানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ধ্বংস হয়েছে। সেই অভিযানে কয়েকজন জঙ্গিও মারা গিয়েছে বলে দাবি করে পাকিস্তানি সরকারি সূত্র। যদিও এই নিয়ে কোনও সরকারি আধিকারিক প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। এই হামলার দায়ও এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকার করেনি ইসলামাবাদ। এদিকে আফগানিস্তান বিষয়ক পাকিস্তানের বিশেষ প্রতিনিধি মহম্মদ সাদিক দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি ও সম্পর্ক উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে কাবুল সফর করার কয়েক ঘণ্টা পর এ হামলা চালানো হয়। (আরও পড়ুন: হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে হম্বিতম্বি শেষ? 'প্র্যাক্টিকাল কথা' বলল ইউনুসের সরকার)
আরও পড়ুন: মার্কিন সংস্থার জেরে মাথায় হাত ভারতের, তবে শুরু হবে তেজসের গুরুত্বপূর্ণ ট্রায়াল
আরও পড়ুন: বড় জয় বিদ্রোহীদের, রাখাইনের পর 'পতন' মায়ানমারের কুকি অধ্যুষিত চিন প্রদেশের
এদিকে আফগানিস্তান ভিত্তিক খামা প্রেস দাবি করেছে যে পাকতিকা প্রদেশের বারমাল জেলায় পাকিস্তানের ধারাবাহিক বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খামা প্রেস দাবি করেছে, গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে লামানসহ সাতটি গ্রাম লক্ষ্য করে চালানো ওই হামলায় একই পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত হন। এদিকে অন্য কিছু মিডিয়া রিপোর্ট ইঙ্গিত দেয় যে বারমালের মুর্গ বাজার গ্রামটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এদিকে খামা প্রেসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ধ্বংসাবশেষ থেকে মৃতদেহ এবং আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধারের প্রচেষ্টা জারি আছে। (আরও পড়ুন: পাহাড়ে তৈরি হল নয়া ইতিহাস, ভারতের প্রথম ঝুলন্ত রেল ব্রিজে ছুটল টাওয়ার ওয়াগন)
আরও পড়ুন: বছর শেষে বাংলার সরকারি কর্মীদের ডিএ ইস্যুতে বৈঠক হল, কী আলোচনা হল তাতে?
আরও পড়ুন: 'মাথা ব্যথা' দূর হয় ক'দিন আগে, এসপ্ল্যানেড-শিয়ালদা মেট্রো রুট নিয়ে রইল বড় আপডেট
এদিকে পাকতিকায় বিমান হামলার পর পাল্টা জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তালিবান প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এই হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে তালিবানের তরফ থেকে। এই নিয়ে বলা হয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার বৈধ অধিকার রয়েছে তাদের। এদিকে দাবি করা হয়েছে, হামলায় ক্ষতিগ্রস্তরা 'ওয়াজিরিস্তানি শরণার্থী'। উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিন ধরেই পাকিস্তানি সেনার ওপরে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের হামলা বেড়েছে। আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, পাকিস্তানি পক্ষের জানা উচিত যে, এ ধরনের একতরফা পদক্ষেপ কোনও সমস্যার সমাধান নয়। এদিকে এই জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার জন্যে আফগান তালিবানদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে চলেছে পাকিস্তান। এর আগে গত মার্চ মাসে আফগানিস্তানের মাটিতে এমনই ভাবে পাকিস্তান হামলা চালিয়েছিল।