গত ২২ এপ্রিল ২০২৫র দুপুরে জঙ্গি হানায় রক্তাক্ত হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহলগাঁও। সেই ঘটনায় যে জঙ্গি সংগঠন দায় নিয়েছিল সেই ‘রেজিসট্যান্স ফ্রন্ট’কে ‘বিদেশি জঙ্গি সংগঠন’র তকমা দিয়েছে আমেরিকা। উল্লেখ্য পাকিস্তানের ছত্রছায়ায় থাকা লস্কর-ই -তৈবার ছায়া সংগঠন এই রেজিসটেন্স ফ্রন্ট। আর তাদেরই এবার দাগিয়ে দিল ট্রাম্পের ওয়াশিংটন!
মার্কিন সচিব মার্কো রুবিও এই ‘রেজিসট্যান্স ফ্রন্ট’ জঙ্গি সংগঠনকে জাতিসংঘ-মনোনীত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবার ‘ফ্রন্ট এবং প্রক্সি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এক বিবৃতিতে রুবিও বলেন, ‘রেজিসট্যান্স ফ্রন্ট’কে সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা ‘আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ রক্ষা, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা এবং প্রেসিডেন্ট (ডোনাল্ড) ট্রাম্পের পাহেলগাঁও হামলার বিচারের আহ্বানকে বাস্তবায়নের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।’ সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে,' আজ, বিদেশ দপ্তর দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) কে একটি মনোনীত বিদেশী সন্ত্রাসী সংগঠন (এফটিও) এবং বিশেষভাবে মনোনীত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী (এসডিজিটি) হিসাবে যুক্ত করছে।' আমেরিকার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের ধারা ২১৯ এবং এক্সিকিউটিভ অর্ডার ১৩২২৪ অনুসারে যথাক্রমে FTO এবং SDGT হিসেবে লস্করের-এর নামকরণে TRF এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট উপনাম যুক্ত করা হয়েছে।
পহেলগাঁও হানার বহু আগে থেকেই কাশ্মীরের ভূমি ফুঁড়ে জেগে উঠেছিল এই ‘রেজিসট্যান্স ফ্রন্ট’। গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে এই সংগঠনের জঙ্গিরা একের পর একজনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। মোট ২৬ জনের মৃত্যুতে রক্তাক্ত হয় বৈসরণ। চুপ থাকেনি ভারত। পাল্টা দিল্লি কূটনৈতিক পথে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করে। এরপরই মে মাসের শুরুতে সন্ত্রাস সংহারে নামে ভারতীয় সেনা। শুরু হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই ‘অপারেশন সিঁদুর’ এ পাকিস্তানের ৯ জঙ্গি শিবির ধ্বংস হয়। এছাড়াও সেদেশের একের পর এক বায়ু ঘাঁটি গুঁড়িয়ে যায়। এরপরই তুঙ্গে চড়ে যুদ্ধের পারদ। হঠাৎই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা হয়। তবে ‘অপারেশন সিঁদুর’ জারি রয়েছে বলে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করেন। এদিকে, কিছুদিন আগেই পহেলগাঁও হানার জঙ্গিদের পরিচিতি সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। অন্যদিকে, পহেলগাঁও হানা ঘিরে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে সংঘাত রোখা নিয়ে তাঁর নিজের ভূমিকা প্রসঙ্গে একাধিক দাবি করেন ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে ‘রেজিসট্যান্স ফ্রন্ট’কে নিয়ে ট্রাম্প সরকারের নয়া পদক্ষেপ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।