হ্যাকার হানায় বিপর্যস্ত ভারতের অন্যতম ক্রিপটোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ কয়েন-ডিসিএক্স। আর যার জেরে ৩৬৮ কোটি টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা। শনিবার ভোরে হ্যাকিংয়ের ঘটনাটি ঘটে। তবে তখন বিষয়টি গোপন রাখে সংস্থাটি। পরে এই সাইবার হামলার বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন উঠলে খবরের সত্যতা স্বীকার করে নেয় তারা।
কয়েন-ডিসিএক্স জানিয়েছে, অভ্যন্তরীণ অপারেশনাল অ্যাকাউন্টকে লক্ষ্য করে সাইবার হামলা চালানো হয়েছে। এটি বড়সড় সাইবার হামলা ছিল। ফলে সংস্থাটি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।মুম্বই ভিত্তিক এই ক্রিপটো প্ল্যাটফর্মটি আরও বলেছে, ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তহবিল সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত রয়েছে। গ্রাহকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। অভ্যন্তরীণভাবে হ্যাকিংয়ের ঘটনা সামাল দেওয়া হচ্ছে।কয়েন-ডিসিএক্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যে অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়েছে সেটি শুধু পার্টনার এক্সচেঞ্জে লিকুইডিটি পরিচালনার কাজে ব্যবহৃত হতো এবং এই অ্যাকাউন্টে কোন গ্রাহকের সম্পদ সংরক্ষিত ছিল না। ফলে কোন গ্রাহক টাকা হারাবেন না।
আরও পড়ুন-'বিশ্বাসঘাতকতা করছে!' সোনমের দাদার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ রাজার পরিবারের
এ বিষয়ে কয়েন-ডিসিএক্সের সহ প্রতিষ্ঠাতা সুমিত গুপ্ত বলেন, 'নির্দিষ্ট ওই অ্যাকাউন্টটি একটি জটিল সার্ভার লঙ্ঘনের কারণে আক্রান্ত হয়। সংস্থার কোষাগারে যথেষ্ট তহবিল রয়েছে, যা এই ক্ষতি সামলাতে সক্ষম এবং গ্রাহকদের কোন আর্থিক ক্ষতি হবে না। এটি কেবল একটি অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়। এটি বিশ্বব্যাপী ক্রিপ্টো প্ল্যাটফর্মগুলোর মুখোমুখি হওয়া ক্রমবর্ধমান হুমকির কথা মনে করিয়ে দেয়।' ঘটনাটি শনাক্ত হওয়ার পর কয়েন-ডিসিএক্স সাময়িকভাবে তাদের ওয়েব-থ্রি ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম স্থগিত করেছিল। তবে সেটি ইতিমধ্যে আবারও চালু হয়েছে। সুমিত গুপ্ত বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘আতঙ্কে আপনার সম্পদ বিক্রি করবেন না। এতে খারাপ দামে বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে এবং অপ্রয়োজনীয় ক্ষতি হয়। বাজারকে স্থির হতে দিন, ধৈর্য ধরুন।’
আরও পড়ুন-'বিশ্বাসঘাতকতা করছে!' সোনমের দাদার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ রাজার পরিবারের
কয়েন-ডিসিএক্স-এর অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দল আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মিলে তদন্ত করছে। তারা নিরাপত্তা দুর্বলতা খুঁজে বের করে তা মেরামত এবং চুরি হওয়া অর্থের উৎস সন্ধানে কাজ করছে। শিগগিরই একটি ‘বাগ বাউন্টি প্রোগ্রাম’ চালু করার পরিকল্পনা করছে কয়েন-ডিসিএক্স। এখানে মূলত নৈতিক হ্যাকারদের পুরস্কৃত করে নিরাপত্তা দুর্বলতা শনাক্তে উৎসাহিত করা হবে।এই হ্যাকিং ঘটনার তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কয়েন-ডিসিএক্স জানিয়েছে, তারা একটি নিরাপদ এবং বিশ্বাসযোগ্য ক্রিপটো ইকোসিস্টেম গড়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।