বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Nobel Prize 2024 in Economics: শোষণকারী থাকলে সেই দেশের উন্নতি হয় না, সেটা বুঝিয়ে নোবেল পেলেন ৩ অর্থনীতিবিদ
পরবর্তী খবর
Nobel Prize 2024 in Economics: শোষণকারী থাকলে সেই দেশের উন্নতি হয় না, সেটা বুঝিয়ে নোবেল পেলেন ৩ অর্থনীতিবিদ
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 14 Oct 2024, 03:52 PM ISTAyan Das
অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ড্যারেন অ্যাসামোগলু, সিমোন জনসন এবং জেমস রবিনসন। এমনিতে অর্থনীতিতে যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়, তা সরকারিভাবে 'ব্যাঙ্ক অফ সুইডেন প্রাইজ ইন ইকোনমিক সায়েন্সেস ইন মেমোরি অফ আলফ্রেন্ড নোবেল'।
Ad
অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ড্যারেন অ্যাসামোগলু, সিমোন জনসন এবং জেমস রবিনসন। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)
উন্নতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের মধ্যে বৈষম্যের বিষয়টি তুলে ধরে এবার অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন তিনজন। ড্যারেন অ্যাসামোগলু, সিমোন জনসন এবং জেমস রবিনসনকে সেই সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। তাঁদের গবেষণার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের নোবেল কমিটির তরফে বলা হয়েছে, 'কোনও দেশের সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে সামাজিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব কতটা, সেটা তুলে ধরেছেন' তিন অর্থনীতিবিদ। ‘যে সমাজে আইনের শাসন দুর্বল এবং যে সমাজে এমন প্রতিষ্ঠান আছে, যা জনগণকে শোষণ করে, সেইসব সমাজ সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠতে পারে না বা উন্নতির জন্য (নিজেকে) পরিবর্তন করতে পারবে না। আর তিন অর্থনীতিবিদ যে গবেষণা করেছেন, সেটা আমাদের বুঝতে সাহায্য করেছে যে কেন এরকম হয়।’ সেইসঙ্গে তাঁদের গবেষণার মাধ্যমে আরও বোঝা যাবে যে কোনও দেশ কেন সাফল্য লাভ করেছে এবং কোনও দেশ কোনও ব্যর্থ হয়েছে।
নোবেলজয়ীরা কোথায় কোথায় কর্মরত আছেন?
তুরস্কে জন্মগ্রহণ করা মার্কিন অর্থনীতিবিদ অ্যাসামোগলু এবং ব্রিটিশ-আমেরিকান জনসন ম্যাসচুয়েটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে কর্মরত আছেন। আর শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করেন ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ রবিনসন। তাঁদের তিনজনকে যুগ্মভাবে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
এমনিতে অর্থনীতিতে যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়, তা সরকারিভাবে 'ব্যাঙ্ক অফ সুইডেন প্রাইজ ইন ইকোনমিক সায়েন্সেস ইন মেমোরি অফ আলফ্রেন্ড নোবেল'। নোবেল কমিটির তরফে দাবি করা হয়, অর্থনীতিতে যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়, সেটা আদতে নোবেল নয়। তবে ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতেই বাকি নোবেল প্রাপকদের সঙ্গে অর্থনীতিবিদদেরও সেই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
যে নাম যাই হোক না কেন, এই পুরস্কারের গুরুত্ব নিয়ে কোনও প্রশ্নই ওঠে না। আর তাই তো নোবেল জয়ের খবরটা পেয়েই হতবাক হয়ে গিয়েছেন অ্যাসামোগলু। নোবেল কমিটির সঙ্গে যখন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, তখন একটি কনফারেন্সে যোগ দিতে গ্রিসে ছিলেন তিনি। ৫৭ বছরের অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘বৃহদাকারে বলতে গেলে আমরা যে কাজ করেছি, তা গণতন্ত্রের পক্ষে।’
চিনের মতো দেশ ধাক্কা খাবে, মত নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের
তবে অ্যাসামোগলু এটাও বলেছেন, 'গণতন্ত্র কোনও প্রতিষেধক নয়। গণতন্ত্র চালু করা খুব কঠিন কাজ। আপনি যখন নির্বাচন শুরু করেন, সেটা সংঘাতের সৃষ্টি করে।' সেইসঙ্গে তাঁরা যে গবেষণা করেছেন, সেটার সঙ্গে চিনের মতো দেশের আর্থিক উন্নতির বিষয়টি কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায়, সেই প্রশ্নের জবাবে অর্থনীতিবিদ জানিয়েছেন যে এরকম একনায়কতন্ত্রের দেশগুলি কঠিন সময়ের মুখে পড়বে।