প্রাথমিক ভাবে ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড’-এর নোটিসে জানানো হয়েছিল, ২০২৩ সালের অগস্ট থেকেই এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। তবে পরে সরকারের তরফে জানানো হয়, ল্যাপটপ এবং কম্পিউটার আমদানির ক্ষেত্রে এখনই বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে না। তবে কবে থেকে সেই বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে, তা স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।
Ad
নতুন বছরে কি ল্যাপটপ আমদানিতে কোপ পড়বে? জল্পনার আবহে মুখ খুলল সরকার
২০২৩ সালের অগস্ট মাসে কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ট্যাবলেট আমদানি সীমাবদ্ধ করা হবে। প্রাথমিক ভাবে ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড’-এর নোটিসে জানানো হয়েছিল, ২০২৩ সালের অগস্ট থেকেই এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। তবে পরে সরকারের তরফে জানানো হয়, ল্যাপটপ এবং কম্পিউটার আমদানির ক্ষেত্রে এখনই বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে না। তবে কবে থেকে সেই বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে, তা স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। এই আবহে অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছিল, ২০২৫ সালের শুরুতেই কি তবে ল্যাপটপ আমদানির ওপর কড়াকড়ি জারি হবে। তবে এই সব নিয়ে জল্পনার মাঝেই সরকার এবার জানিয়ে দিল, এখনই ল্যাপটপ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে আমদানি কমানোর কথা বলবে না তারা। (আরও পড়ুন: কোটি টাকা কোনও ব্যাপারই ছিল না, 'খেলা' হত নগদেই, পার্থর পর্দা ফাঁস জামাইয়ের)
সরকার বলছে, এইচপি এবং ডেল-এর মতো সংস্থাগুলি ক্রমেই ভারতে ল্যাপটপ তৈরি বাড়াবে। এই আবহে মোবাইলের ক্ষেত্রে যেমন সাফল্য দেখা গিয়েছে, ল্যাপটপের ক্ষেত্রেও তা দেখা যাবে বলে আশা করছে সরকার। এই আবহে কেন্দ্রীয় আইটি মন্ত্রকের সচিব এস কৃষ্ণন জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ১৭ হাজার কোটি টাকার পিএলআই (প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনিশিয়েটিভ) স্কিমের মাধ্যমে দেশে ল্যাপটপ তৈরি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে দেশে সেমিকন্ডাক্টর তৈরি বাড়াতেও একটি প্রকল্প চালুর পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেমিকন্ডাক্টর তৈরিতে আমেরিকা, জাপান, চিনের মতো দেশের সরকার ভারতের থেকে বেশি পরিমাণের প্রকল্প চালু করেছে বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে ভারতও এই ক্ষেত্রে আর্থিক অনুদান বৃদ্ধির কথা ভাবছে। (আরও পড়ুন: দলের শীর্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করতে চলেছেন কানাডার প্রধনমন্ত্রী ট্রুডো: রিপোর্ট)
এর আগে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ল্যাপটপ এবং কম্পিউটার আমদানির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে সরকার। জানানো হয়েছিল, ল্যাপটপ এবং কম্পিউটার আমদানিকারকদের অনলাইন পোর্টালে রেজিস্টার করতে হবে। সরকারের তৈরি 'ইমপোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম'-এ আমদানি সংক্রান্ত তথ্য দিতে হবে আমদানিকারকদের। তবে ৩০ সেপ্টেম্বরের সেই সম্ভাব্য তারিখও পার হয়ে যায়। সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করেনি। নতুন বছরে তাই নতুন করে এই নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এর আগে ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছিলেন, ল্যাপটপ আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের অন্যতম কারণ নিরাপত্তা জনিত অনিশ্চয়তা। পীযূষ গোয়েল বলেছিলেন, 'ল্যপটপ হল আমাদের সব সময়ের সঙ্গী। ল্যাপটপে বহু গোপনীয় ব্যক্তিগত তথ্য আমরা সেভ করে রাখি। কিন্তু এই ল্যাপটপ তথ্য পাচারের একটি উৎসও হতে পারে। আমি আমার নিজের ফোন ব্যবহার করতেই ভয় পাচ্ছি। চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের ত্রিসীমানায় কোনও টেসলা গাড়ি থাকার অনুমতি নেই। তারা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঝুঁকি নিতে চায় না। নিজেদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভারতকেও তার শক্রদের থেকে সচেতন থাকতে হবে।'