বিগত কয়েকদিন ধরে চিনে এইচএমপিভি ভাইরাসের সংক্রমণের কথা সামনে আসছিল। এরই মাঝে এবার ভারতেও খোঁজ মিলল এইচএমপিভি ভাইরাস আক্রান্তের। জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে আট মাসের এক শিশুর শরীরে এইচএমপিভি ভাইরাস আছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। এদিকে শিশুর পরিবারের সম্প্রতি বিদেশ ভ্রমণের কোনও ইতিহাস নেই। দাবি করা হচ্ছে, ভারতে এটিই প্রথম এইচএমপিভি সংক্রমণ। বিগত কয়েকদিন ধরে শিশুটির জ্বর ছিল এবং শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। এইচএমপিভি-র উপসর্গের সঙ্গে মিল থাকায় ওই বেসরকারি হাসপাতালের তরফ থেকে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সেই রিপোর্টে রেজাল্ট পজিটিভ আসে। (আরও পড়ুন: অনৈতিক ভাবে কাটা হচ্ছিল বেতন, বাংলাদেশে হিন্দু মহিলার প্রাণ কাড়ল 'কাজের চাপ')
আরও পড়ুন: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবি মানবে না ইউনুস সরকার? বাংলাদেশে এবার হবে কী?
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, চিনের হাসপাতালে কোভিডকালের মতো ভিড় উপচে পড়েছে। জানা গিয়েছে, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে আক্রান্ত হয়েই চিনের মানুষজন হাসপাতালে ছুটছেন। এই সংক্রমণে শিশু এবং বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বলেও দাবি করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, আমেরিকান লাং অ্যাসোসিয়েশনের মতে, শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণকে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ২০০১ সালে নেদারল্যান্ডসের গবেষকরা এর আবিষ্কার করেছিলেন। (আরও পড়ুন: ভোররাতে ধস্তাধস্তি, প্রশান্ত কিশোরকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ, দেখুন ভিডিয়ো)
আরও পড়ুন: পদ্ম সম্মান পেতে UPA জমানায় দিতে হত কোটি টাকা ঘুষ! সোরোসকে দেখে মনে পড়ল রাজীবের
শীত এবং বসন্তের মাসগুলিতে আমেরিকায় হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস প্রকোপ দেখা যায়। সাধারণত ঠান্ডা লাগার মতোই উপসর্গ তৈরি করে এই হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস। কিছু ক্ষেত্রে এই সংক্রমণের উপসর্গগুলো কোভিড ১৯-এর মতো মারাত্মক হতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। এদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, এইচএমপিভি মোকাবিলায় অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহারে সাবধান থাকতে হবে। এদিকে এই ভাইরাসের এখনও কোনও ভ্যাকসিন নেই বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: 'জুলাই বিপ্লবের' নেতাকে মঞ্চে উঠে মার হাসিনা বিরোধীদেরই! উভয় সঙ্কটে ইউনুস)
আরও পড়ুন: দলের শীর্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করতে চলেছেন কানাডার প্রধনমন্ত্রী ট্রুডো: রিপোর্ট
উল্লেখ্য, কোভিডের সঙ্গে এইচএমপিভি-র অনেক ক্ষেত্রেই মিল রয়েছে। এটিও হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সংক্রমিত ব্যক্তির থেকে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। রোগীর ব্যবহৃত জিনিসের সংস্পর্শে এলেও এই রোগের সংক্রমণ ঘটতে পারে বলে দাবি করা হয়। এই সংক্রমণে মূলত শিশু এবং বৃদ্ধরা অসুস্থ হচ্ছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। জ্বর, সর্দি-কাশি ছাড়া গলা ব্যথা থেকে শারীরিক দুর্বলতাও দেখা দিতে পারে এই হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের সংক্রমণের জেরে। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মতে, এটি একটি উপরের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, তবে এটি কখনও কখনও নিউমোনিয়া, হাঁপানির মতো নিম্ন শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের আকার ধারণ করতে পারে। অথবা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজের (সিওপিডি) স্থিতি আরও খারাপ করে তুলতে পারে এই ভাইরাস। এই সংক্রমণের কারণে অসুস্থতার তীব্রতা রোগীর উপর নির্ভর করে। তবে স্বাভাবিক ভাবে ইনকিউবেশন সময়কাল ৩ থেকে ৬ দিন হতে পারে।