অষ্টমীতে কলকাতার রাজনীতির ছবিতে দেখা গেল এক অন্য রূপ। প্রচারের আলোয় নয়, বরং একেবারে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দমদমের জয়শ্রী ক্লাবের দুর্গাপুজোর মণ্ডপে মেয়ের হাত ধরে পৌঁছে গেলেন তিনি। মণ্ডপে প্রবেশ করে ঠাকুর দর্শন করলেন, খুঁটিয়ে দেখলেন জেলের আদলে সাজানো পুরো প্যান্ডেল। তারপরেই স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে কাটালেন কিছু সময়। উপহার তুলে দেওয়ার পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরে আসার বার্তা দিলেন।
আরও পড়ুন: দমদমের দুই মণ্ডপে যাবেন অভিষেক, কী বার্তা দেবেন TMC সেনাপতি? জোর জল্পনা
অভিষেকের পরনে ছিল কালো কুর্তা-পাঞ্জাবি। আর তাঁর মেয়ে আজানিয়া পরেছিল উজ্জ্বল হলুদ সালোয়ার-কামিজ। ছোট্ট ঠাকুরদালান, কুঠুরি, বন্দিদের প্রতিকৃতি সবকিছু মন দিয়ে দেখলেন বাবা-মেয়ে। ঠাকুর প্রণাম সেরে বেরোনোর পরেই অভিষেকের সামনে এসে দাঁড়ালেন পরিযায়ী শ্রমিকদের একাংশ। তাঁদের সঙ্গে বসেই খোলামেলা আড্ডায় মেতে উঠলেন অভিষেক। ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে তাঁদের যে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, সেই কথা শুনলেন মন দিয়ে। কেউ বললেন কর্মস্থলে অবহেলার কথা, কেউ বললেন সংসারের অভাব-অনটনের কথা। অভিষেকও আশ্বাস দেন, তাঁরা একা নন, তৃণমূল সবসময় তাঁদের পাশে আছে। পরে তাঁদের হাতে তুলে দেন পুজোর উপহার।
এরপরেই শ্রমিকদের সঙ্গে ফুচকা খান অভিষেক। পাশে ছিল ছোট্ট মেয়ে আজানিয়াও। সাধারণ মানুষদের সঙ্গে এমন অকপট আড্ডা ও খাবার ভাগ করে নেওয়ার দৃশ্য ঘিরে উচ্ছ্বাস ছড়ায় এলাকায়। শ্রমিকরা কেউ হাত জোড় করে কৃতজ্ঞতা জানান, কেউ বা সাংসদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন।
উল্লেখ্য, ভিনরাজ্যে বাঙালি শ্রমিকদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে তৃণমূল দীর্ঘদিন ধরেই সরব। তাঁদের সুরক্ষায় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্প। সেই প্রেক্ষাপটে অষ্টমীর সকালে পুজো মণ্ডপে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে অভিষেকের এই মেলবন্ধন নিঃসন্দেহে এক বিশেষ বার্তা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।