
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
কয়েকদিন আগেই চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করেছিল মায়ানমার সেনার ১২ জন সদস্য। এছাড়াও এর মধ্যে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টাও জারি থেকেছে বিভিন্ন জায়গায়। এরই মাঝে রবিবার মায়ানমারের মংডু থেকে বাংলাদেশের টেকনাফে অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে ধরা পড়ল ৩৬ জন রোহিঙ্গা। উল্লেখ্য, মংডু শহর ইতিমধ্যেই বিদ্রোহী আরাকান আর্মির কবলে। এই আবহে রোহিঙ্গারা সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করছে। এই আবহে রবিবার দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং-মুন্ডার ডেইল ঘাট এলাকা থেকে ৩৬ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। আটক রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৫ জন নারী, ১০ জন শিশু ও ২১ জন পুরুষ। তাঁরা বিজিবির হেফাজতে রয়েছেন। জানা গিয়েছে, সাগরপথে নৌকা করে পালিয়ে এসেছে এই ৩৬ জন। (আরও পড়ুন: দলের শীর্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করতে চলেছেন কানাডার প্রধনমন্ত্রী ট্রুডো: রিপোর্ট)
আরও পড়ুন: ভারতে প্রথম! বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে HMPV আক্রান্ত আট মাসের শিশু
এর আগে সম্প্রতি বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন মায়ানমার সেনার ১২ জন সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে বান্দারবানে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২ জানুয়ারি স্থানীয় সময় রাত পৌনে আটটা নাগাদ মায়ানমারের এই সেনা সদস্যরা ঢুকে পড়ে বাংলাদেশের বান্দারবানে। নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ৩৫ নম্বর পিলারের দক্ষিণ দিক হয়ে তারা অনুপ্রবেশ করে বলে দাবি করা হয়। আরাকান আর্মির তাড়াতেই প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে মায়ামারের এই সেনা সদস্যরা। তুমব্রু খাল পার হয়ে ভাজাবুনিয়া গ্রামে গিয়ে পৌঁছায় মায়ানমারের এই ১২ জন। তারপর গ্রামবাসীরা খবর দেয় বিজিবি-কে। পরে সেখান থেকে বিজিবি মায়ানমারের ১২ সেনা সদস্যকে নিয়ে যায়। সেই ১২ জনকেই তুমব্রু বর্ডার আউট পোস্টে আটক করে রাখা হয়। (আরও পড়ুন: 'জুলাই বিপ্লবের' নেতাকে মঞ্চে উঠে মার হাসিনা বিরোধীদেরই! উভয় সঙ্কটে ইউনুস)
আরও পড়ুন: পদ্ম সম্মান পেতে UPA জমানায় দিতে হত কোটি টাকা ঘুষ! সোরোসকে দেখে মনে পড়ল রাজীবের
আরও পড়ুন: ভোররাতে ধস্তাধস্তি, প্রশান্ত কিশোরকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ, দেখুন ভিডিয়ো
মায়ানমারের গৃহযুদ্ধের আবহে বাংলাদেশ সীমান্তে মাঝেমাঝেই বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায়। এদিকে সীমান্তের ওপারের অশান্তির আঁচ এসে পড়ছে বাংলাদেশেও। এই আবহে জুন্তার পাশাপাশি আরাকান আর্মির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয় বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে। এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দাবি করেন, মায়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তের নিয়ন্ত্রণে আছে তারা। (আরও পড়ুন: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবি মানবে না ইউনুস সরকার? বাংলাদেশে এবার হবে কী?)
আরও পড়ুন: অনৈতিক ভাবে কাটা হচ্ছিল বেতন, বাংলাদেশে হিন্দু মহিলার প্রাণ কাড়ল 'কাজের চাপ'
মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের প্রায় পুরোটাই দখল করে নিয়েছে আরাকান আর্মি। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে রাখাইনে জুন্তা বাহিনীর ঘাঁটি নিশানা করে হামলা শুরু করেছিল আরাকান আর্মি। এই আবহে রাখাইন প্রদেশের ১৭টি শহরের মধ্যে ১২টিরই দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি। এদিকে মায়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যকার ২৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত আছে। এর আগে মংডু শহর দখলের সঙ্গে সঙ্গেই সেই ২৭০ কিলোমিটারের পুরোটাই দখলে চলে গিয়েছে আরাকান আর্মির। বর্তমানে রাখাইন প্রদেশের সিত্তে শহরটি জুন্তার দখলে রয়েছে। তবে প্রদেশের অধিকাংশের ওপরই জুন্তার কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।
এদিকে রাখাইন প্রদেশে এখনও প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা আছে বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে রোহিঙ্গারা আপাতত জুন্তাকে সমর্থন করছে। বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির থেকে অনেক রোহিঙ্গা দেশে ফিরে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিয়েছে। আবার আরাকান আর্মিও নাফ নদের তীরে রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। এই আবহে গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে ৮০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলে দাবি করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস নিজে। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সীমান্তে বাংলাদেশ উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং বিজিবির নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports