মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা চলাকালীন মসজিদে চপ্পল ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠল। চপ্পল ছোড়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁরা থানা ঘেরাও করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। এরপর পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এবং অভিযুক্তদের সন্ধান চলছে। জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উজ্জয়িনীতে জগন্নাথ যাত্রা চলাকালীন ভিড়ের মধ্যে থেকে কেউ মসজিদ লক্ষ্য করে চপ্পল ছুড়ে মেরেছিল। ঘটনার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। (আরও পড়ুন: এক সেতুর দুই নিয়ম! MLA-র গাড়ি গেলেও থামল অ্যাম্বুলেন্স, মায়ের মৃতদেহ নিয়ে হাঁটলেন ছেলেরা)
আরও পড়ুন: পুরীর রথযাত্রায় মর্মান্তিক ঘটনা, জগন্নাথের মাসির বাড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ৩
সেই ভাইরাল ভিডিয়োতে স্পষ্ট দেখা যায়, রথযাত্রা চলাকালীন মসজিদের দিকে তিনবার চপ্পল ছোড়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন থানা ঘেরাও করে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানায়। তাঁরা অভিযোগ করেন যে কিছু লোক শহরের শান্তি ও সম্প্রীতি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এই আবহে পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। মসজিদের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত নির্মীয়মাণ হোটেল সাইট, নিখোঁজ ৯ শ্রমিক)
আরও পড়ুন: ঘুম উড়েছে মুনিরের, তাই ভারতের বিরুদ্ধে হাস্যকর অভিযোগ পাক সেনার, দিল্লি বলল...
শুক্রবার উজ্জয়িনীতে ভগবান জগন্নাথের দুটি রথযাত্রা বের করা হয়েছিল। একটির যাত্রা শহরের ইসকন মন্দির থেকে শুরু হয়েছিল এবং অন্যটি ধাবা রোডের খাটি সমাজের জগদীশ মন্দির থেকে শুরু হয়েছিল। গোপাল মন্দির থেকে শহরের বিভিন্ন পথ দিয়ে ঘুরে সেই একই রুট দিয়ে সেটি ফিরছিল নিজ গন্তব্যে। এদিকে মসজিদের সামনে দিয়ে যাওয়া যাত্রাপথের ভিড়ের মধ্যে থেকে কিছু লোক মসজিদের ওপর চপ্পল ছোড়ে। ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর মুসলিম সমাজের অভিযোগ, শহরের পরিবেশ যাতে নষ্ট হয়, তার জন্যই ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজ করা হয়েছে। মুসলিম সমাজের বিপুল সংখ্যক মানুষ খারা কুয়ান পুলিশ স্টেশনে পৌঁছে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে কাজি খলিফুর রহমান বলেন, আমাদের শহরে শান্তি ও সম্প্রীতি বিরাজ করছে। কিছু মানুষ শহরকে বদনাম করার চেষ্টা করছে। এ ধরনের ঘটনা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এবং শহরের শান্তি বিঘ্নিত করে। প্রশাসনের উচিত এই ধরনের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে। মির্জা ওয়াদি মসজিদের ইমাম হাফিজ মহম্মদ আয়ুব বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় তার মোবাইলে একটি ভিডিয়ো আসে। দেখা যায়, মিছিলে থাকা কিছু লোক মসজিদের ওপর চপ্পল ও জুতা ছুড়ে মারে। পুলিশ বলছে, আসামিদের শনাক্ত করা মাত্রই তাদের গ্রেপ্তার করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।