টিভি অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি সেই অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন যিনি ছোট পর্দার হাত ধরে অভিনয় যাত্রা শুরু করেছিলেন এবং জনপ্রিয়তাও পেয়েছিলেন। শ্বেতা বলিউডেও নিজের ছাপ রেখেছেন। ভোজপুরি ছবিতেও কাজ করেছেন শ্বেতা। আবার পেশাগত জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও শিরোনামে থেকেছেন শ্বেতা তিওয়ারি।
শ্বেতার দু'বার বিয়ে করলেও দু'টি বিয়েই ব্যর্থ হয়। ভোজপুরী ছবিতে কাজ করার সময় মাত্র ১৯ বছর বয়সে রাজা চৌধুরীকে সঙ্গে শ্বেতার বিয়ে হয়। ১৯৯৮ সালে বাড়ির অমতে পালিয়ে গিয়ে রাজাকে বিয়ে করেছিলেন শ্বেতা। তবে জানা যায়, বিয়ের ১ বছরের মধ্যেই তাঁদের সম্পর্কে তিক্ততা চলে আসে। তবে তাঁদের এই বিবাহিত সম্পর্কে এক মেয়েও হয়, নাম পলক। ২০০৭ সালে শ্বেতা ও রাজার বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
এর পর এরপর ২০১৩ সালে অভিনব কোহলিকে বিয়ে করেন শ্বেতা। ২০১৯ সালে সেই বিয়েতেও দাঁড়ি পড়ে। তাঁদের এক ছেলে আছে। প্রথম বিয়ের পর শ্বেতা একসময় রাজার বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ এনেছিলেন। এদিকে সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন স্ত্রী শ্বেতাকে নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজা। যেখানে তাঁকে তার স্ত্রীর শ্বেতা সম্পর্কে অনেক অবাক করে দেওয়ার মতো দাবি করতে শোনা গিয়েছে। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও অভিনবকে শিশুটির সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
সম্প্রতি হিন্দি রাশকে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন শ্বেতার প্রাক্তন স্বামী ভোজপুরী অভিনেতা রাজা চৌধুরী। সেই কথোপকথনে রাজা বলেছেন যে শ্বেতা তিওয়ারি তাঁর দ্বিতীয় (প্রাক্তন) স্বামী অভিনব কোহলির সঙ্গে রোম্যান্টিক সম্পর্ক তৈরির আগে তাঁকে 'ভাই' বলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও শ্বেতা তাঁকে তাঁর মেয়ে পলকের সঙ্গে দেখা করতে দেন নি, মেয়েকে তাঁর থেকে কেড়ে নিয়েছেন। এমনকি দ্বিতীয় স্বামী অভিনবকেও আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও তাঁর সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে বাধা দিচ্ছেন।
তবে শ্বেতা একবার তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে গেলে তিনি তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীর পিছু নিয়েছিলেন এবং কয়েকজনকে মারধরও করেছিলেন। তিনি কাকে মেরেছিলেন রাজার কাছে জানতে চাওয়া হলে বিগ বস ২-এর এই প্রতিযোগী জানান, ইনিই সেই ব্যক্তি যাঁকে তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী শ্বেতা 'ভাই' বলে ডাকতেন। এরপরই রাজা বলেন, শ্বেতা শুধু অভিনব কোহলিই নয়, আরও সকলকেই ভাই বলে ডাকতেন।
সাক্ষাৎকারে রাজা চৌধুরী আরও বলেন, ‘ও (অভিনব) শ্বেতার ভাই ছিল। বলত, ও আমার ভাই, ভাই-এর বন্ধু পরে সেই অভিনব কোহলিই শ্বেতার প্রেমিক, পরে স্বামী হয়ে ওঠেন। এটা একটা বাজে গল্প।’
রাজা বলেন, 'যখন শ্বেতা আবারও (অভিনবের সঙ্গে) বিয়ে করে, তখন সেই ছেলেটিও কাঁদতে কাঁদতে আমার কাছে এসেছিল। যখন ও আবারও প্রেমে পড়ে, তখন সে (অভিনব) আমাকে জিগ্গেস করেছিল যে ওর কী করা উচিত। সে (অভিনব) বলেছিল, 'তোমার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন আমি ওর সঙ্গে ছিলাম, আর এখন এই একই বিপর্যয় আমার উপরও নেমে এসেছে।'