ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ড্যারেন স্যামি শাস্তির মুখে পড়লেন আইসিসির দ্বারা। কারণ তিনি অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আম্পায়ারিং নিয়ে অসন্তুষ্ট হওয়ার কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন। ঘটনাটি ঘটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম অস্ট্রেলিয়ার কেনিংস্টন ওভালে হওয়া প্রথম টেস্টে। সেখানে তৃতীয় আম্পায়ার আদ্রিয়ান হোল্ডস্টকের ওপর বিরক্তি প্রকাশ করেই আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্ট ভেঙেছেন ২টি টি২০ বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা ক্রিকেটার, যিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বর্তমান হেড কোচ।
আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্টের ২.৭ ধারা অনুযায়ী লেভেন ওয়ান অফেন্স বা অপরাধ করেছেন ড্যারেন স্যামি। সেই জন্য তাঁর ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। এই ধারায় বলা আছে, ‘কোনও বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা বা এমন কোনও মন্তব্য করা ম্যাচ বা ম্যাচের ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ বা আম্পায়ার বা অফিশিয়ালদের নিয়ে, যে অনভিপ্রেত ’।
শুধু ১৫ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানাই নয়, ড্যারেন স্যামিকে ১টি ডিমেরিট পয়েন্টও দেওয়া হয়েছে। এটাই গত ২৪ মাসে স্যামির প্রথম ডিমেরিট পয়েন্ট। ম্যাচ রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথ এই শাস্তি প্রস্তাব করেন এবং ড্যারেন স্যামি তা মেনেও নেই, তাই নতুন করে আর কোনও শুনানির প্রয়োজন ছিল না। দুই ফিল্ড আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো এবং নীতিন মেননের পাশাপাশি তৃতীয় আম্পায়ার আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক এবং চতুর্থ আম্পায়ার গ্রেগরি ব্র্যাথওয়েট এই অভিযোগ আনেন ড্যারেন স্যামির বিরুদ্ধে। লেভেন ওয়ান অফেন্সের ক্ষেত্রে খেলোয়াড় বা কোচের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ম্যাচ ফি জরিমানা হতে পারে, দেওয়া হতে পারে ২টি ডিমেরিট পয়েন্টও।
এবার আসা যাক আসল ঘটনায়। প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়া ১৫৯ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে যায়। দ্বিতীয় দিনের খেলায় তৃতীয় আম্পায়ার আদ্রিয়ান হোল্ডস্টকের বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শাই হোপের আউট হওয়া ক্যাচ এবং রস্টন চেজের এলবিডাব্লুর সিদ্ধান্ত। দুই ক্ষেত্রেই আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়েছিল তৃতীয় আম্পায়ার ভুল করেছেন। সেই প্রশ্ন তুলে ধরেই ড্যারেন স্যামি দ্বিতীয় দিনের খেলার শেষে একপ্রকার ধুয়ে দেন তৃতীয় আম্পায়ারকে।
তিনি ম্যাচ রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। তাঁকে জানিয়েছিলেন যাতে তৃতীয় আম্পায়ার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে একটু বিচক্ষণতা দেখানো যায়। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে এই আম্পায়ার নাকি এর আগে ইংল্যান্ডেও এমনই ভুল করেছেন। প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করাতেই স্যামিকে আইসিসির কোপের মুখে পড়তে হল।