ফর্মে ফিরেই বিধ্বংসী শতরান করলেন নিকোলাস পুরান। তবে তাতেও ভাগ্য বদলাল না এমআই নিউ ইয়র্কের। মেজর লিগ ক্রিকেটে বিরাট ইনিংস গড়েও ম্যাচ হারতে হল কায়রন পোলার্ডদের। হাই-স্কোরিং নাকটীয় ম্যাচে শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে এমআইয়ের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে যান সিয়াটেল অরকাসের শিমরন হেতমায়ের।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, চলতি মেজর লিগ ক্রিকেটে এমআইের এটি ছয় ম্যাচে পাঁচ নম্বর হার। অন্যদিকে সিটাটেল অরকাসের এটি ছয় ম্যাচে প্রথম জয়। এদিন মেজর লিগ ক্রিকেটের ইতিহাসে সব থেকে বেশি রান তাড়া করে জয়ের সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে সিয়াটেল। অর্থাৎ, শুরুতে ব্যাট করে সব থেকে বেশি রান তুলে ম্যাচ হারার হতাশাজনক রেকর্ডে নাম জড়িয়ে যায় এমআই নিউ ইয়র্কের।
ডালাসে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে এমআই। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২৩৭ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। নিকোলাস পুরান ৫টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ২৬ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকান ৫৫ বলে। সাহায্য নেন ৬টি চার ও ৮টি ছক্কার। শেষমেশ ৭টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে ৬০ বলে ১০৮ রান করে অপরাজিত থাকেন পুরান।
তাজিন্দর সিং ৩টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ২২ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন। তাজিন্দর ৮টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ বলে ৯৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। কুইন্টন ডি'কক ১ রানে আউট হন। খাতা খুলতে পারেননি কায়রন পোলার্ড। সিয়াটেলের হয়ে ২টি করে উইকেট দখল করেন কাইল মায়ের্স ও জেরাল্ড কোয়েটজি।
পালটা ব্যাট করতে নেমে সিয়াটেল অরকাস একসময় ১৮ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২০৬ রান সংগ্রহ করে। অর্থাৎ, জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে ৩২ রান দরকার ছিল তাদের। ১৯তম ওভারে এহসান আদিলকে ৩টি ছক্কা মারেন হেতমায়ের। সেই ওভারে ওঠে ২৩ রান। শেষ ওভারে পোলার্ড আঁটোসাটো বল করেন। জয়ের জন্য শেষ বলে ৬ রান দরকার ছিল সিয়াটেলের। তবে পোলার্ডের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সিয়াটেলকে জয় এনে দেন শিমরন।
সিয়াটেল অরকাস ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৩৮ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। মেজর লিগের ইতিহাসে এটি সব থেকে বেশি রান তাড়া করে জয়ের সর্বকালীন রেকর্ড। হেতমায়ের ৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ২২ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তিনি শেষ পর্যন্ত ৫টি চার ও ৯টি ছক্কার সাহায্যে ৪০ বলে ৯৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।
কাইল মায়ের্স ৩৭, সিকন্দর রাজা ৩০ ও এনরিখ ক্লাসেন ২৬ রানের যোগদান রাখেন। এমআইয়ের হয়ে ট্রেন্ট বোল্ট ৩টি উইকেট দখল করেন। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন হেতমায়ের।