আগামী সপ্তাহে ব্রাজিলে ব্রিকস সামিটে অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এই গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে দুই শীর্ষ শক্তির নেতা-রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর অনুপস্থিতি আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়া থেকে এই শীর্ষ সম্মেলনে প্রতিনিধিত্ব করবেন বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং চিনের পক্ষে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং।
ব্রিকস হল ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকার সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক সংগঠন। সম্প্রতি এর সদস্য সংখ্যা বেড়ে এখন ১০টি দেশের মধ্যে সম্প্রসারিত হয়েছে। এই বছর ব্রিকস সামিট অনুষ্ঠিত হবে রিও ডি জেনিরো, ব্রাজিলে ৬ ও ৭ জুলাই। সামিটের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদী বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করবেন। অন্যদিকে, রাশিয়ার পুতিনের অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-এর তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া বলা হচ্ছে। যেহেতু ব্রাজিল আইসিসির সদস্য দেশ, সেখানে পুতিনের যাত্রা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এদিকে, চিনের শি জিনপিং প্রথমবার ব্রিকস সামিটে অংশগ্রহণ করবেন না। যদিও আনুষ্ঠানিক কোন কারণ জানানো হয়নি, তবে অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলিই এর নেপথ্যের কারণ বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন-রাজস্থানে ৪,৫০০ বছরের প্রাচীন সভ্যতার সন্ধান! কী বলছে এএসআই?
ব্রিকস সামিটের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘানা,ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, আর্জেন্টিনা এবং নামিবিয়ার সরকারি সফরও করবেন। ২ জুলাই দিল্লি থেকে ঘানার উদ্দেশে যাত্রা করবেন মোদী, যা ভারতের পক্ষ থেকে ঘানায় প্রথম প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক সফর। এরপর ৩-৪ জুলাই ত্রিনিদাদ ও টোবাগো যাবেন, যেখানে তিনি দেশটির সংসদের যুগ্ম অধিবেশনেও ভাষণ দেবেন। ৪-৫ জুলাই আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত হবে তাঁর সরকারি সফর এবং ৫-৮ জুলাই ব্রাজিলের ব্রিকস সামিটে অংশগ্রহণ করবেন। সফরের শেষ পর্বে ৯ জুলাই নামিবিয়ায় রাষ্ট্র স্তরীয় সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
আরও পড়ুন-রাজস্থানে ৪,৫০০ বছরের প্রাচীন সভ্যতার সন্ধান! কী বলছে এএসআই?
তিন দশকের মধ্যে এটি হবে ভারত থেকে কোনও প্রধানমন্ত্রীর ঘানা সফর। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, এই সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী ঘানার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা সারবেন, শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব পর্যালোচনা করবেন এবং অর্থনৈতিক, জ্বালানি এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার মাধ্যমে এটিকে আরও উন্নত করার আরও উপায় নিয়ে আলোচনা হবে। অন্যদিকে, ১৯৯৯ সালের পর এটি হবে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সফর।সফরের চতুর্থ পর্যায়ে, প্রধানমন্ত্রী মোদি রাষ্ট্রপতি লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার আমন্ত্রণে ব্রাজিল ভ্রমণ করবেন।ব্রিকস সামিটে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী শাসনব্যবস্থার সংস্কার, শান্তি ও নিরাপত্তা, বহুপাক্ষিকতা জোরদারকরণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দায়িত্বশীল ব্যবহার, জলবায়ু পদক্ষেপ, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক ও আর্থিক বিষয়গুলি-সহ গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে মত বিনিময় করবেন। শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রীর বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।