আইএনএস নিরুপক। এবার অবসর নিল ভারতীয় নৌসেনার সেই জাহাজ। বিশাখাপত্তনমে এনিয়ে একেবারে আনুষ্ঠানিকভাবে এই জাহাজকে অবসর দেওয়া হল। প্রায় ৩৮ বছর ধরে এই জাহাজ তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। এবার অবসর নিল এই জাহাজ। ভাইস অ্যাডমিরাল অধীর অরোরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এই জাহাজের অতীতের নানা সাফল্যকে তুলে ধরা হয়। আইএনএস নিরূপক। সুনামির ত্রাণকাজে এই জাহাজের অবদান ভোলার নয়।
এবার একটু পেছন ফিরে দেখা যাক। সেই ১৯৮৫ সালে এই জাহাজ কাজ করা শুরু করেছিল। ৮৫ সালের ১৪ অগস্ট এই জাহাজ কাজ করা শুরু করেছিল। সেই সময় তৎকালীন চিফ অফ নাভাল স্টাফ এই জাহাজের উদ্বোধন করেছিলেন। ইস্টার্ন নাভল কমান্ডের অধীন এই জাহাজ কাজ করা শুরু করেছিল।
নিজের কর্মজীবনে একাধিক পুরস্কারও পেয়েছিল এই জাহাজ। বড় সব প্রাপ্তি রয়েছে এই জাহাজের ঝুলিতে। এই জাহাজটি মূলত সমীক্ষা জাহাজ হিসাবে কাজ করত। সর্বোত্তম সার্ভে শিপ হিসাবে গণ্য় করা হয়েছিল এই জাহাজকে। ১৯৯৪, ১৯৯৫, ২০০৫ ও ২০০৯সালে এই জাহাজের বিরাট প্রাপ্তি হয়েছিল। তবে শুধু সমীক্ষক জাহাজ হিসাবে নয়, একাধিকবার এই জাহাজ মানবিক হাতও বাড়িয়ে দিয়েছিল। অপারেশন গম্ভীরের সময় এই জাহাজকেও হাসপাতাল জাহাজ হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছিল। ২০০৪ সালে যখন সুনামিতে তছনছ হয়ে গিয়েছিল ইন্দোনেশিয়ার একটা বিরাট অংশ তখন এই জাহাজে করেই ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
হাইড্রোগ্রাফি সমীক্ষার ক্ষেত্রেও বিরাট সাফল্য পেয়েছিল এই জাহাজ। ওসানোগ্রাফির ক্ষেত্রেও বিরাট সাফল্য় পেয়েছিল এই জাহাজ। সমুদ্রের নানা অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে এই জাহাজের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। এমনকী সেই সময় আইএনএস নিরুপক যে সব তথ্য তুলে আনত তা অন্য়ান্য় জাহাজের ওই রুটে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হত। ভারতীয় নেভির কাছে কার্যত সম্পদ ছিল এই জাহাজ। অবশেষে এই জাহাজই এবার অবসর নিল। তবে দিনগুলোতে এই জাহাজ ডিউটিতে ছিল এই জাহাজ সেই সময়কালে এর কৃতিত্ব কখনও ভোলবার নয়।