1 মিনিটে পড়ুন Updated: 28 Feb 2023, 06:58 PM ISTSatyen Pal
এক আধিকারিকের মতে,ওই লোকটি চিন আর হংকংয়ে একাধিকবার ট্রেনিং নিয়েছে। জঙ্গি সংক্রান্ত দেশবিরোধী ট্রেনিং সে নিয়েছে। সরফরাজের আধারকার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও পাসপোর্টও ওই মেলের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
দেশের সুরক্ষাতেও সদা সতর্ক এনআইএ। ফাইল ছবি
শ্রুতি তোমার
মঙ্গলবার ইন্দোর পুলিশ একটি ওষুধের দোকানের মালিক সরফরাজ মেমনকে আটক করেছে। ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে ইন্দোর থেকে আটক করা হয়েছে। তাকে তালিবান হিসাবে মনে করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে সে নাকি জঙ্গি ট্রেনিং নিয়ে এসেছে। এরপর জঙ্গি হানার জন্য় সে মুম্বইতে ঘাঁটি গেড়েছিল।
এনআইএর আধিকারিকরা, ইন্দোর পুলিশ ও মুম্বইয়ের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড চন্দননগর এলাকায় একটি বন্ধ ঘরে তার জেরা শুরু করেছে। তবে ইন্দোরের পুলিশের শীর্ষ কর্তারা জানিয়েছেন, সরফরাজের বিরুদ্ধে বড় কোনও সূত্র পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে. তবে সে নিজেই ইন্দোর থানায় দেখা করেছে। তাকে থানায় আসতে বলা হয়েছিল।
এদিকে সোমবার মুম্বইতে এনআইএর তরফে একটি সতর্কতা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়েছিল সরফরাজ দেশের পক্ষে অত্য়ন্ত খতরনক লোক। সে মুম্বইতে ঢুকে পড়েছে। এদিকে ৩ ফেব্রুয়ারি এনআইএর কাছে একটি মেল এসেছিল। সেখানে উল্লেখ করা হয় তালিবান নেতা সরফরাজকে মুম্বইতে জঙ্গি হানার জন্য় পাঠানো হয়েছে। সে আসলে মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। সে একজন তালিবানি।
এরপরই এনআইএ সরফরাজের ব্যাপারে ইন্দোর পুলিশকে জানায়। ইন্দোরে তার মেডিসিনের দোকান রয়েছে। হোম মিনিস্টার নরোত্তম মিশ্র জানিয়েছেন, এনআইএর ইনপুটের ভিত্তিতে ইন্দোর পুলিশ সরফরাজকে কাস্টডিতে নিয়েছে। অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কোনওভাবেই কাউকে রেয়াত করা হবে না।
ইন্দোর পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকদের মতে, সরফরাজ মেমন প্রায় ১২ বছর হংকংয়ে থাকত। চিনের এক মহিলার সঙ্গে তার ডিভোর্স হয়ে যায় । এরপর সে সেখান থেকে ফিরে আসে। এরপর ইন্দোরে মসজিদের কাছে ওষুধের দোকান শুরু করে। ভারতে অন্তত চারজন মহিলাকে সে বিয়ে করেছে। সে মুম্বই, কলকাতা, চিন ও হংকংয়ে মাঝেমধ্য়েই যেত। তবে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সরফরাজ তাদের জানিয়েছে তাদের পরিবারের মোবাইলের ব্যবসা রয়েছে। সেই সূত্রে সে ওই জায়গাগুলিতে গিয়েছিল।