প্রবীণ নাগরিকদের ট্রেনের টিকিটে কবে ছাড় বা ‘কনসেনশন’ ফিরবে? করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাব অনেকটা কেটে যাওয়ার পরে আপাতত সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন ভারতের অসংখ্য ট্রেনযাত্রী। সেই বিষয়টি নিয়ে বুধবার মুখ খুললেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সরাসরি কিছু না জানালেও রেলমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, করোনাভাইরাস মহামারীর সময় যে ছাড় তুলে নেওয়া হয়েছিল, তা এখনই ফেরানো হচ্ছে না। বরং তিনি দাবি করেন, যাত্রীপিছু ৫৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ ১০০ টাকা দাম হলে যাত্রীদের থেকে এমনিতেই ৪৫ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন বৈষ্ণব।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে সাংবাদিক বৈঠকে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের একাধিকবার জানিয়েছি যে যাত্রীদের জন্য ভর্তুকি-বাবদ মোট ৫৯,০০০ কোটি টাকা প্রদান করে ভারতীয় রেল। বর্তমানে সব যাত্রীই ৫৫ শতাংশ ছাড় পান। ১০০ টাকা খরচ হয়। যদি কোনও জিনিসে ১০০ টাকা খরচ হয়, তাহলে সেটার দাম কত হওয়া উচিত? ১০০ টাকার বেশি হওয়া উচিত। ১০৫ টাকা হয়, ১১০ টাকা হয়। কিন্তু রেলওয়ে আপনার থেকে ৪৫ টাকা নেয়।’
উল্লেখ্য, যখন ভারতে করোনা মহামারীর প্রকোপ শুরু হয়েছিল, সেইসময় প্রবীণ নাগরিকদের ট্রেনের টিকিটের উপর থেকে 'কনসেশন' তুলে নেয় ভারতীয় রেল। দীর্ঘদিন যে 'কনসেশন' পেতেন তাঁরা, তা তুলে নেওয়া হয়। রেলের তরফে জানানো হয়েছিল, ২০২২ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ট্রেনের টিকিটে ছাড় পাননি দেশের প্রায় আট কোটি প্রবীণ নাগরিক। সেইসময় প্রবীণ নাগরিকদের থেকে রেলের আয় হয়েছিল ৩,৪৬৪ কোটি টাকা। যদি প্রবীণ নাগরিকদের ছাড় দিত রেল, তাহলে ১,৫০০ কোটি টাকা কম আসত বলে একটি তথ্য জানার অধিকার আইনের প্রেক্ষিতে জানানো হয়েছিল।
আগে রেলের তরফে প্রবীণ নাগরিকদের ট্রেনের টিকিটে ছাড় দেওয়া হত?
১) পুরুষ ও তৃতীয় লিঙ্গ: ৬০ বছর হলে ট্রেনের টিকিটে ৪০ শতাংশ ছাড় পেতেন।
২) মহিলা: ৬০ শতাংশ ছাড় পেতেন। ৫৮ বছর হলে ছাড় পেতেন তাঁরা।
৩) রেল সূত্রে খবর, আগে মোট ৩৫ রকম ছাড় দেওয়া হত। মোট যে পরিমাণ ছাড় দেওয়া হত, সেটার প্রায় ৮০ শতাংশ প্রবীণ নাগরিকদের খাতে বেরিয়ে যেত।