আমেরিকা থেকে সম্প্রতি ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে জঙ্গি তাহাউর রানাকে। একদা আইএসএআই এবং পাক সেনায় কর্মরত থাকা তাহাউর আপাতত কানাডার নাগরিক। আর সেই অজুহাতে নিজেদের ঘাড় থেকে তাহাউরের দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছে ইসলামাবাদ। তবে এরই মাঝে দিল্লির তরফ থেকে 'রিমাইন্ডার' দেওয়া হল পড়শিদের। তাহাউর ইস্যুতে ১৭ এপ্রিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, 'পাকিস্তান হয়তো খুব চেষ্টা করবে, কিন্তু গোট বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল হিসেবে তাদের খ্যাতি কমে যাবে না। তাহাউর রানার ভারতে প্রত্যর্পণ পাকিস্তানকে মনে করিয়ে দেয় যে তাদের অন্যান্য অপরাধীদেরও বিচারের আওতায় আনা দরকার।' (আরও পড়ুন: কর্মফল ভোগ করছে বাংলাদেশ? পড়শি দেশকে দেওয়া 'শাস্তি' নিয়ে অকপট ভারত)
আরও পড়ুন: সংশোধিত WAQF আইনের জন্যে মোদীকে ধন্যবাদ জানালেন ‘সংখ্যালঘুদের মধ্যে সংখ্যালঘুরা’
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের মুম্বই হামলায় ধৃত দ্বিতীয় ব্যক্তি হল এই তাহাউর রানা। দীর্ঘ আইনি এবং কূটনৈতিক লড়াইয়ের পর রানাকে ভারতে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে মোদী সরকার। আপাতত এনআইএ হেফাজতে আছে ২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানা। এই পাকিস্তানি-কানাডিয়ান জঙ্গিকে টানা জেরা করে চলেছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, তাহাউরের জেরার ভিডিয়োগ্রাফি হচ্ছে। মুম্বই হামলার আগে লস্কর জঙ্গি, পাক সেনা এবং আইএসএআই কর্তাদের সঙ্গে তাহাউর রানার কী কথা হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এদিকে ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ডেভিড কোলম্যান হেডলি মুম্বইয়ে নজরদারি চালাতে 'ইমিগ্রেশন ল সেন্টার' নামক অফিসকে কাজে লাগাত। এটা তাহাউর রানার অফিস ছিল। সেই অফিসে অবশ্য অন্য কোনও কাজ হত না। সেই অফিস চালানোর জন্যে টাকা কোথা থেকে আসত, তা জানারও চেষ্টা চলছে। (আরও পড়ুন: এপারের সংখ্যালঘুদের নিয়ে ঢাকার 'উদ্বেগের' আবহে ওয়াকফ নিয়ে কী বলল ভারত?)
আরও পড়ুন: ২৪৫% শুল্ক চাপিয়ে চিনের সঙ্গে 'ভালো চুক্তির' বার্তা ট্রাম্পের,উঠল ভারত প্রসঙ্গও…
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে হেডলি মুম্বইতে এসে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে সেখানে অফিস খুলেছিল রানার ইমিগ্রেশন ব্যবসার নাম করে। সেখানে একজন অ্যাসিস্ট্যান্টও নিয়োগ করেছিল সে। এরই সঙ্গে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। এই ব্যবসাকে 'আসল' দেখানোর জন্যে সকল চেষ্টা করেছিল হেডলি। সেই সময় নিজেকে রানার সংস্থার দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক প্রধান হিসেবে দাবি করেছিল হেডলি। এদিকে সংস্থার বিজ্ঞাপন দেখে অনেক সময়ই মানুষ আসত হেডলির কাছে। তখন সে নাকি রানার কাছে তাদের রেফার করে দিত। এদিকে মানুষের থেকে টাকাও নিত হেডলি। তবে সেই ব্যক্তি ভিসা না পেলে সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হত। এভাবেই ব্যবসার ভান করে মুম্বই হামলার ছক কষা হয়েছিল।