পূজার মায়ের একটি পুরনো ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা গিয়েছে, গ্রামে এক কৃষককে বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন পূজার মা।
Ad
হাতে বন্দুক নিয়ে কৃষককে ভয় দেখাচ্ছেন IAS পূজা খেদকরের মা
আইএএস পূজা খেদকরকে নিয়ে সম্প্রতি জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। মহারাষ্ট্রের এই ট্রেনি আমলা নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ। আর এবার পূজার মায়ের একটি পুরনো ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা গিয়েছে, গ্রামে এক কৃষককে বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন পূজার মা। এদিকে পূজার বাবা নিজে একজন প্রাক্তন আমলা ছিলেন। দিলীপ খেদকরের বিরুদ্ধে এখন অভিযোগ উঠেছে, তিনি পুনের বিভিন্ন জায়গায় প্রভাব খাটিয়ে প্রচুর জমি কিনেছেন। পাশাপাশি সেই সব জমির লাগোয়া কৃষিজমিও কব্জা করার চেষ্টা করেছিলেন খেদকর দম্পতি। সেই সময়ই পূজার মা মনোরমা নাকি এক কৃষককের সামনে বন্দুক নাচিয়ে ভয় দেখিয়েছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছিল পুনের মুলসি তালুকে। (আরও পড়ুন: লাফাচ্ছে শেয়ার বাজার, কিন্তু মাথায় হাত অপশন ট্রেডারদের, আপডেট দিল জেরোধা)
এদিকে ২০২৩ সালের মহারাষ্ট্র ক্যাডারের আইএএস অফিসার পূজা খেদকরের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠে এসেছে সাম্প্রতিকালে। অভিযোগ, তিনি তাঁর পদের নিয়ম না মেনে তাঁর অউডি গাড়িতে লালবাতি লাগিয়েছেন। এছাড়াও তাঁর নিয়োগ নিয়েও উঠছে নানান প্রশ্ন। অভিযোগ, ভুয়ো সার্টিফিকেট দিয়ে আইএএস পদে নিয়োগ পেয়েছেন পূজা। এই অভিযোগ ঘিরে রিপোর্ট চেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। গঠিত হয়েছে বিশেষ কমিটি। (আরও পড়ুন: 'নতুন পিচে খেলা হবে', সুপ্রিম কোর্টের বকেয়া ডিএ মামলায় এল বড় পরিবর্তন)
পূজার বিরুদ্ধে এখন অভিযোগ উঠেছে, ভুয়ো প্রতিবন্ধী এবং ওবিসি শংসাপত্র জমা দিয়ে আইএএস হয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, ৮০০-র ওপরে ব়্যাঙ্ক থাকা সত্ত্বেও প্রাক্তন আমলার বাবার প্রভাব খাটানোয় মহারাষ্ট্র ক্যাডারে আইএএস হন পূজা। তবে এই সব বিষয় সামনে এসেছে অনেক পরে। ২০২২ ব্যাচের মহিলা আইএএস অফিসার হিসাবে তাঁর পদের অপব্যবহার করে তিনি সম্প্রতি শিরোনামে উঠেছিলেন। গাড়িতে সাইরেন, ভিআইপি নম্বর প্লেট এবং 'মহারাষ্ট্র সরকার' এর স্টিকার ব্যবহার করছিলেন তিনি। (আরও পড়ুন: কোষাগারে টাকার টান, তাও আরও এক দফায় এই রাজ্যের কর্মীদের ডিএ বাড়াল সরকার)
উল্লেখ্য, সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া নথি অনুসারে, পূজা খেদকর ওবিসি এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিভাগের অধীনে ইউপিএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। পাশাপাশি ইউপিএসসিতে একটি মানসিক অসুস্থতার শংসাপত্রও জমা দিয়েছিলেন। তবে প্রতিবন্ধকতা প্রমাণ করার পরীক্ষা বারবার এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। ষষ্ঠবারের মতো সেই মেডিক্যাল পরীক্ষায় অংশ নিলেও তা আধা পথেই ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। কোভিড আক্রান্ত হওয়ার কারণ দেখিয়ে বারবার এই পরীক্ষা এড়িয়েছিলেন। এদিকে পূজা নিজে পুনের বাসিন্দা। নিয়ম অনুযায়ী, প্রথমেই নিজের জেলায় পোস্টিং পাওয়ার কথা ছিল না তাঁর। তাও তিনি পুনেতে পোস্টিং পান অ্যাসিস্টেন্ট জেলাশাসক হিসেবে। তিনি নাকি সেখানে নিয়ম ভেঙে অতিরিক্ত জেলাশাসকের জন্যে বরাদ্দ অফিস ব্যবহার করছিলেন।