BENGALURU : বিস্ফোরক উদ্ধার ঘিরে তুঙ্গে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে প্রযুক্তিবগরী বেঙ্গালুরুর কালসিপ্যাল্যা বাসস্ট্যান্ডে। এর আগে, বাসস্ট্যান্ডে শৌচালয়ে কাছে একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ দেখতে পাওয়া যায়। সন্দেহ হতেই পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে পুলিশ সহ বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড পৌঁছায়। সেখানে যেতেই উদ্ধার হয় ব্যাগে থাকা বিস্ফোরক। প্রশ্ন উঠছে, কে বা কারা সেখানে ওই বিস্ফোরক এমন পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে গেল? উদ্দেশ্যই বা কি ছিল? গোটা ঘটনা ঘিরে তুঙ্গে চাঞ্চব্য প্রযুক্তিনগরী বেঙ্গালুরুতে।
উল্লেখ্য়, ওই পরিত্যক্ত ব্য়াগ থেকে উদ্ধার হয়েছে ডিটোনেটর, জেলাটিন। কর্তৃপক্ষ ছয়টি জেলটিনের স্টিক খুঁজে পেয়েছে, যা সাধারণত শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যা একটি প্লাস্টিকের ব্যাগের ভেতরে চতুরতার সাথে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। কালসিপাল্যা বিএমটিসি বাস স্ট্যান্ডের পাবলিক টয়লেটের কাছে এই ব্যাগটি পাওয়া গেছে। বিস্ফোরক ছাড়াও, ডেটোনেটর - আলাদাভাবে মোড়ানো অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে, ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বম্ব স্কোয়াড, অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড। দেশের অন্যতম প্রযুক্তি হাব- বেঙ্গালুরুর বুকে এই বিস্ফোরক উদ্ধার ঘিরে নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠছে। এদিকে, বাসস্ট্যান্ডটি নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে।
( Weight Loss Tips: জিমে না গিয়েও বনি কাপুর কমিয়েছেন ২৬ কেজি! ওজন কমানের ‘ম্যাজিক ডায়েট’টি কী?)
উল্লেখ্য, বাস স্ট্যান্ডের এক কর্মচারি ওই পরিত্যক্ত ব্যাগ ঘিরে ঘটনা পরম্পরার প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে বলেন,'কেউ শৌচালয় ব্যবহার করতে এসেছিলেন এবং তাঁর ব্যাগ এখানে রেখে গিয়েছিলেন। আমরা সাধারণত ব্যাগটি আমাদের কাছে রাখি এই ভেবে যে তাঁরা হয়তো আবার এসে এটি নিয়ে যাবেন। কিন্তু কেউ আসেনি, তারপর আমরা গার্ডকে জানিয়েছিলাম। আমরা জানি না সেই ব্যক্তি কে ছিলেন।' এদিকে, ঘটনা ঘিরে, পুলিশ জানিয়েছে,' আমরা গোয়েন্দা সংস্থা এবং অন্যান্য সংস্থার সাথে কথা বলেছি, এবং কোনও দেশবিরোধী কার্যকলাপের সাথে এর কোনও যোগসূত্র নেই। মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচির সাথেও এর কোনও যোগসূত্র নেই।' ঘটনার তদন্ত ঘিরে এক অফিসার জানিয়েছেন,'আমাদের কাছে কিছু সূত্র আছে এবং আমরা জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছি। সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তি ধরা না পড়া পর্যন্ত, আমরা উদ্দেশ্য নিশ্চিত করতে পারব না।'