'প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা' (পিএমএসবিওয়াই)-এর মাধ্যমে প্রায় ৪৮ কোটি ভারতীয় দুর্ঘটনা বিমার অধীনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। শনিবার এই তথ্য পেশ করেছে অর্থ মন্ত্রক।
অর্থ মন্ত্রকের তরফ থেকে তাদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে এই প্রসঙ্গে একটি পোস্ট করা হয়। তাতে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৪৭.৫৯ কোটি ভারতীয় পিএমএসবিওয়াই-এর মাধ্যমে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত মোট ১,৯৩,৯৬৪টি ক্লেম করা হয়েছে। যার মধ্য়ে ১,৪৭,৬৪১টি ক্লেমের টাকা পাঠানোও হয়ে গিয়েছে।
পিএমএসবিওয়াই হল একটি বার্ষিক বিমা। যা মূলত দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বা দুর্ঘটনার ফলে সৃষ্টি হওয়া শারীরিক প্রতিবন্ধকতার ক্ষেত্রে আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে। এবং এই বিমা প্রতি বছর পুনর্নবীকরণ করাতে হয়।
ভারতের যেকোনও নাগরিক, যাঁর বয়স ১৮ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে এবং যাঁর ব্য়াঙ্কে অথবা পোস্ট অফিসে নিজস্ব অ্য়াকাউন্ট রয়েছে, তিনি এই বিমা করাতে পারেন। এর জন্য বছরে মাত্র ২০ টাকা কিস্তি দিতে হয়।
বদলে দুর্ঘটনার ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মৃত্যু ঘটলে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সরকারের তরফে এককালীন ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ বা সহযোগিতা প্রদান করা হয়। এবং দুর্ঘটনার ফলে যদি কেউ শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েন, তাহলে তাঁকে এককালীন ১ লক্ষ টাকা সাহায্য হিসাবে প্রদান করা হয়। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এই বিমায় নাম নথিভুক্ত করার ফলে সারা দেশের অন্তত ৫৪ কোটি মানুষ উপকৃত হয়েছেন বা হতে পারেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরই প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা (পিএমজেডিওয়াই)-এর ১০ বছর পূর্তি হয়েছে। ২০১৪ সালের ২৮ অগস্ট এই প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, এই ধরনের প্রকল্পগুলির মাধ্যমে ভারতের পিছিয়ে পড়া এবং আর্থিকভাবে দুর্বল গোষ্ঠীগুলি উপকৃত হয়েছে। ফলত, অর্থ মন্ত্রকের তরফে লাগাতার এই প্রকল্পগুলির প্রচার করা ও প্রসার ঘটানো হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আরও দাবি করা হয়, প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা আদতে বিশ্বের বৃহত্তম আর্থিক প্রকল্প। যা কোটি কোটি ভারতীয়কে একত্রে প্রথমবারের জন্য ব্যাঙ্ক পরিষেবার আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। এমনকী, এত দিন যাঁদের ব্য়াঙ্ক অ্য়াকাউন্ট ছিল না, তাঁরাও এর অধীনে নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট খুলেছেন।
সরকারের পেশ করা তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের ১৪ অগস্ট পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার অধীনে মোট ৫৩.১৩ কোটি ব্য়াঙ্ক অ্য়াকাউন্ট খোলা হয়েছে। যার মধ্য়ে ৫৫.৬ শতাংশ (২৯.৫৬ কোটি) অ্য়াকাউন্ট খোলা হয়েছে মহিলাদের নামে।