অনেকেরই অভ্যাস থাকে, কোনও পশুপ্রাণী দেখলেই তাকে খাবার ছুড়ে দেওয়া। প্রথমত, তাতে এলাকার পরিবেশ যেমন দূষণ হয়, তেমন তা প্রাণীটিকে উস্কানিও দিতে থাকার সমান। এমনই এক ঘটনা নিয়ে এবার সতর্ক করলেন বনবিভাগের অফিসার সুশান্ত নন্দ। তিনি সদ্য তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তুলে ধরেন এক হাতির কাণ্ডকারখানার ভিডিয়ো।
ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, জঙ্গল সংলগ্ন রাস্তা। আর তা দিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করছে গাড়িঘোড়া! এদিকে, তখন রাস্তা পার করছিল একটি হাতি। সেই সময়ই চলন্ত গাড়ি থেকে হাতিকে দেখে যাত্রীরা খাবার ছুড়তে থাকেন। এই খাবার ছোড়ার ঘটনাই যেন হয়ে ওঠে হাতির কাছে উস্কানি! আর তখনই রাস্তায় ছোড়া খাবারের দিকে না তাকিয়ে সোজা গাড়ির দিকে তেড়ে যায় হাতিটি। শুঁড় বাগিয়ে খাবার খেতে যায় সে। ততক্ষণে নিজের বিশালাকার শরীর দিয়ে ওই হাতি গাড়িকে ঠেলে দিয়েছে। গাড়ির ভিতর স্বভাবতই ত্রাস ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, খানিকবাদে গাড়ি থেকে নেমে পড়ছেন অনেকে। ধিরে ধিরে গাড়ির একপাশের দরজা দিয়ে যাত্রীরা নামেন। কেউ নামাতে থাকেন ব্যাগপত্র। তখনই হাতি ঘুরে গিয়ে যেদিকে লোকজন সেদিকে চলে যায়। ততক্ষণে গাড়ির জানলা দিয়ে শুঁড় ঢুকিয়ে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করেন গজরাজ! মনে করা হচ্ছে, প্রাণীটি আশা করেছিল যে যেদিকে লোকজন রয়েছে, সেদিক থেকে সে বহু খাবার পেতে পারে। তবে শেষমেশ তা হয়নি। ততক্ষণে গাড়ি থেকে নেমে অনেকেই প্রাণভয়ে পালাতে থাকেন। গজরাজ তখন খাবার তাড়নায় মত্ত!
গাড়ির এই অবস্থা দেখে, অন্যদিকে, গেট দিয়ে আরও কয়েকজন নামতে থাকেন। কার্যত ততক্ষণে হুলুস্থুলু পড়ে গিয়েছে। আশপাশের বাকি গাড়িগুলি থেকে ততক্ষণে অনেকেই নামতে শুরু করে দিয়েছেন। রাস্তাচলতি বাইকও দাঁড়িয়ে পড়ে, পরিস্থিতি দেখে। এই ভিডিয়ো পোস্ট করে সুশান্ত নন্দ লেখেন, ‘যদি বন্যপ্রাণীকে খাওয়াতে যান, তাহলে তারাও আপনাকে খেতে যাবে। … এই হাতি ঠিক তাই করেছে।’ সুশান্ত নন্দ তাই সকলেক প্রতি সতর্কতামূলক বার্তা দিয়ে বলছেন, এভাবে কোনও প্রাণীকে মাঝ রাস্তায় খাওয়ানো সঠিক কাজ নয়।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup