ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ থামাতে তিনি যে বদ্ধপরিকর, আরও একবার সেই বার্তা দেওয়ার জোরদার চেষ্টা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (১৪ মার্চ, ২০২৫) তিনি জানান, বৃহস্পতিবারই (১৩ মার্চ, ২০২৫) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর 'খুব ভালো এবং ফলপ্রসূ আলোচনা' হয়েছে। সেই আলোচনায় তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে অনুরোধ করেছেন, যাতে তিনি ইউক্রেনের সেনাদের জীবন হারানোর হাত থেকে রেহাই দেন!
সমাজমাধ্যমে এই বিষয়ে দীর্ঘ একটি পোস্টও করেছেন ট্রাম্প। তিনি লিখেছেন, 'গতকাল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আমাদের খুব ভালো এবং ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। একটা প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে - যার মধ্যমে এই ভয়াবহ, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়তো অবশেষে শেষ হতে পারে। কিন্তু, এখন -ঠিক এই মুহূর্তে ইউক্রেনের হাজার হাজার সেনাকে সম্পূর্ণভাবে ঘিরে রেখেছে রুশ সেনাবাহিনী। এবং তাঁরা খুব খারাপ ও সংবেদনশীল অবস্থায় রয়েছেন। আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে অত্যন্ত জোরালোভাবে আবেদন জানিয়েছি, যাতে তিনি ওই সেনাদের প্রাণ হারানোর হাত থেকে রেহাই দেন। এটি একটি ভয়াবহ গণহত্যা হতে পারে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আর দেখা যায়নি। ঈশ্বর ওঁদের সকলকে রক্ষা করুন!!'
উল্লেখ্য, এর আগেই ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ট্রাম্পের বিশেষ দূত - স্টিভ উইটকফ - মস্কোয় রুশ আধিকারিকদের সঙ্গে একটি 'গোপন' বৈঠকের পর প্রেসিডেন্ট পুতিনের বার্তা নিয়ে স্বদেশে ফিরেছেন। দাবি করা হচ্ছে, গত তিন বছর ধরে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যে যুদ্ধ চলছে, তা বন্ধ করতেই বর্তমানে মার্কিন প্রশাসনের বিভিন্ন উদ্যোগের অন্যতম অংশ ছিল এই 'গোপন' বৈঠক।
বিষয়টি নিয়ে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাতেই জানানো হয়, 'রুশ পক্ষকে অতিরিক্ত তথ্যাবলী প্রদান করা হয়েছে। পুতিন উইটকফকে বার্তাবাহকের দায়িত্ব পালন করতে বলেছেন এবং অতিরিক্ত তথ্য়াবলী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দিতে বলেছেন।'
সূত্রের দাবি, ইউক্রেন ৩০ দিনের জন্য যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব রেখেছে, তা সমর্থন করার জন্য পুতিনও তাঁর কিছু শর্ত আরোপ করেছেন। এরপরই রুশ আধিকারিকদের সঙ্গে এ নিয়ে গোপন বৈঠক করেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত। রুশ রাষ্ট্রনেতা ইউক্রেনের প্রস্তাব সম্পূর্ণভাবে মানতে অস্বীকার করলেও তিনি এটা জানিয়ে দেন যে ট্রাম্পের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই!