বাংলাদেশের বায়ুসেনা বিমানের ভয়াবহ দুর্ঘটনার জেরে এপর্যন্ত বাংলাদেশে ২২ জনের মৃত্যুর খবর উঠে আসছে। এদিকে, আহতের সংখ্যা আগেই ১০০ ছাড়িয়েছে। বহুজনই দগ্ধ অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি। অনেকেরই শারীরিক অবস্থা গুরুতর। এই পরিস্থিতিতে গতকালই ভারতের তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘটনায় শোক প্রকাশ করে, বাংলাদেশকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে, পাকিস্তান ও চিনের তরফেও বাংলাদেশের জন্য এসেছে বার্তা।
ঢাকার উত্তরায় গতকালই বাংলাদেশ বায়ুসেনার এফ ৭ বিমানটি ভেঙে পড়ে এক স্কুলের ওপর। সেখানে সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় ১ জনের। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। স্বজনহারার কান্না ধ্বনিত হয় ঢাকার আকাশ-বাতাস জুড়ে। পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস বলেন,'আমার বলার কোনো ভাষা নেই। কিভাবে শুরু করব? সেটাও বুঝতে পারছি না। আমার মতো সারা দেশের লোক আজকে হতবাক। এ রকম একটা কাণ্ড ঘটতে পারে।' তিনি এও বলেন যে,'আমরা কেউ কল্পনা করিনি। কারোরই ধারণার মধ্যে ছিল না। কিন্তু এই অবিশ্বাস্য জিনিস আমাদের হঠাৎ করে গ্রহণ করতে হয়েছে।' শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশের সরকারের প্রধান বলেন,' আগুনে পুড়ে মারা গেল, মা-বাবাদের আমরা কি জবাব দেব? কি বলব তাদের? আমরা নিজেদের তো জবাব দিতে পারছি না। অজানা শিশুদের মুখ সবার চোখে ভেসে উঠছে।'
এদিকে, বাংলাদেশে এই মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে শোকবার্তা এসেছে পাকিস্তান ও চিন থেকেও। বাংলাদেশে অবস্থিত চিনের দূতাবাস তার এক বিবৃতিতে বলেছে,'আজ ঢাকায় বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় চিনা দূতাবাস গভীরভাবে শোকাহত। চিনা দূতাবাস নিহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও আহতদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে।' অন্যদিকে, পাকিস্তানের তরফেও এসেছে বাংলাদেশের এই দুর্ঘটনা ঘিরে বার্তা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্র শেহবাজ শরিফ এক এক্স পোস্টে তাঁর শোকবার্তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন,'ঢাকার মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত। বাংলাদেশের জনগণের প্রতি, বিশেষ করে নিহতদের পরিবারের প্রতি, যাদের অনেকেই ছোট শিশু, আমার আন্তরিক সমবেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে পাকিস্তান বাংলাদেশের সরকার এবং জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশ করছে। '