সোমবার উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন জগদীপ ধনখড়। ‘স্বাস্থ্যসেবাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার এবং চিকিৎসা পরামর্শ মেনে চলার জন্য,’ তাঁর পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সংবিধানের ৬৭(ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে এই পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির কাছে লেখা এক চিঠিতে জগদীপ ধনখড় প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যদের প্রতি তাঁর মেয়াদে সহায়তার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, সংসদে চলছে বাদল অধিবেশন। আর তারই মাঝে উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে জগদীপ ধনখড়ের ইস্তফার খবর উঠে আসে। রাষ্ট্রপতির কাছে লেখা তার চিঠিতে জগদীপ ধনখড় বলেছেন,'স্বাস্থ্যসেবাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার এবং চিকিৎসা পরামর্শ মেনে চলার জন্য, আমি সংবিধানের ৬৭(ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে অবিলম্বে কার্যকরভাবে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করছি।' ওই চিঠিতে ধনখড় বলেন,'ভারতের মাননীয় রাষ্ট্রপতির প্রতি তাঁর অটল সমর্থন এবং আমার মেয়াদে আমরা যে শান্তিপূর্ণ ও চমৎকার কর্মসম্পর্ক বজায় রেখেছি তার জন্য আমি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।' তাঁর চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে,'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সম্মানিত মন্ত্রী পরিষদের প্রতি আমি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।'
এককালে বাংলার রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলানোর পর দেশের উপরাষ্ট্রপতির পদে যোগ দেন এই বিশিষ্ট আইনজীবী জগদীপ ধনখড়। তিনি ইস্তফাকালে তাঁর চিঠিতে লেখেন,'প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা এবং সমর্থন অমূল্য, এবং আমার দায়িত্বকালে আমি অনেক কিছু শিখেছি।' তিনি চিঠিতে লেখেন, 'সকল মাননীয় সংসদ সদস্যের কাছ থেকে আমি যে উষ্ণতা, আস্থা এবং স্নেহ পেয়েছি তা সর্বদা আমার স্মৃতিতে লালিত থাকবে এবং গেঁথে থাকবে। আমাদের মহান গণতন্ত্রে উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে আমি যে অমূল্য অভিজ্ঞতা এবং অন্তর্দৃষ্টি অর্জন করেছি তার জন্য আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। এই গুরুত্বপূর্ণ সময়কালে ভারতের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং অভূতপূর্ব তাৎপর্যপূর্ণ উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করা এবং তাতে অংশ নেওয়া একটি সৌভাগ্য এবং তৃপ্তির বিষয়। আমাদের জাতির ইতিহাসের এই রূপান্তরমূলক যুগে সেবা করা সত্যিই সম্মানের।'
(এই প্রতিবেদন এআই জেনারেটেড)