কংগ্রেসের অবস্থানকে সমর্থন করে পাকিস্তান ও চিন। অপারেশ সিঁদুর প্রসঙ্গে বিরোধী দলের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপির ওড়িশার সাংসদ বৈজয়ন্ত জয় পান্ডা। পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পর ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর মাধ্যমে সীমান্তপারে সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিতে প্রতিক্রিয়া জানানোর পর, ভারতের বার্তা আন্তর্জাতিক মহলে পৌঁছাতে একাধিক সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কূটনৈতিক সফর করেছে। আর সেই প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন বৈজয়ন্ত জয় পান্ডাও।
এনডিটিভি-র এক সাক্ষাৎকারে বিজেপি সাংসদ বলেন, 'কংগ্রেস নেতাদের অবস্থানে প্রশ্ন তুলে দেয় যে তারা পাকিস্তান ও চিনের প্রচারিত প্রচারণার সঙ্গে জড়িত।' তিনি আরও বলেন,'দুই বা তিনজন শীর্ষ কংগ্রেস নেতার মন্তব্য বারবার দুই দেশের সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে এগুলি নিয়ে আলোচনা হয়। এটা কংগ্রেসের ভাবা উচিত যে কেন পাকিস্তান তাদের অবস্থানকে সমর্থন করছে।' বিজেপি সাংসদ বলেন, তিনি বুঝতে পেরেছেন যে কিছু মুসলিম দেশে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। তিনি যে চারটি দেশে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সেগুলি হল-সৌদি আরব, কুয়েত, বাহরিন এবং আলজেরিয়া।
আরও পড়ুন-ভোটের বিহারে কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ! রাজ্যবাসীর জন্য বড় ঘোষণা
তাঁর কথায়, এই দেশগুলির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্ক গড়ে তোলার উপর জোর দিয়েছেন। তারা তাঁকে তাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছেন। এবং এই চারটি দেশই সন্ত্রাসবাদের মুখোমুখি হয়েছে এবং আমাদের মতোই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। পাকিস্তান যে ধরণের সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে তারা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- আল-কায়েদা। ভারতের অর্থনীতি সম্পর্কে বৈজয়ন্ত জয় পান্ডা বলেন, 'আমরা এখন চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ।এবার আমরা তৃতীয় বৃহত্তম হতে চলেছি। সারা বিশ্বের দেশগুলি, বিশেষত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি যেখানে আমরা সফর করেছি, তারা সকলেই ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে চায়।'
আরও পড়ুন-ভোটের বিহারে কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ! রাজ্যবাসীর জন্য বড় ঘোষণা
অন্যদিকে,কংগ্রেস বলেছে যে ভারতের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। কংগ্রেস নেত্রী পূজা ত্রিপাঠি বলেন, 'যখন পাকিস্তান এবং রাশিয়া একটি বড় চুক্তি স্বাক্ষর করে, তখন আপনি যতই বিভিন্ন দেশে কূটনৈতিক মিশন পাঠান... এবং তারপর এমনকি একটি দেশও এই বিবৃতি দেয়নি যে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল। তারা সন্ত্রাসী হামলার সমালোচনা করেছিল, কিন্তু কেউ পাকিস্তানের নাম করেনি।' তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদী শিবিরগুলিতে হামলার পর ভারতকে লক্ষ্যবস্তু করার প্রচেষ্টায় পাকিস্তান একা নয় ছিল না।
কংগ্রেস নেত্রী আরও বলেন, 'এটি একটি কৌশলগত পরিণতি। এটা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে একক যুদ্ধ ছিল না। কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বদলীয় আলোচনা থেকে, যৌথ অধিবেশন থেকে দূরে সরে যাওয়া উচিত নয়... বরং এই প্রশ্নগুলির উত্তর তাদের দেওয়া উচিত।'