ভারত সাহায্য করেছিল মুক্তিযুদ্ধে। নিজের মুখেই সেই কথা স্বীকার করে নেন। তবে তারপর ভারতের কৃতিত্বকে ছোট করারও চেষ্টা করেন। আর এই সবের মাঝেই ভারতের ওপর পরমাণু হামলার হুমকি দিয়ে বসলেন। তিনি বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকরিক কর্নেল অলি আহমেদ। দীর্ঘদিন সাংসদ এবং বিভিন্ন সময়ে নানান মন্ত্রকের দায়িত্বেও থেকেছেন এই অলি আহমেদ। এবার তিনিই বললেন, 'বাংলাদেশকে ভারত ব্যবহার করবে, আর আমরা এখানে কলা চুষব, এটা হবে না। এখান থেকেও পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করা হবে।' (আরও পড়ুন: ফের বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে যাচ্ছে পাকিস্তানি জাহাজ, এবার কন্টেইনারে আছে...)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিরা পরমাণু স্বপ্ন দেখে পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে, সেই 'ঘুম' ভাঙায় আমেরিকা!
আরও পড়ুন: ফের রক্ত ঝরল জম্মু ও কাশ্মীরে, কুলগামে সেনার গুলিতে খতম ৫ জঙ্গি, জখম ২ জওয়ান
লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির চেয়ারম্যান তথা অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক অলি আহমেদ সম্প্রতি একটি সভায় বলেন, 'যে ভারত ১৫ বছর বাংলাদেশকে গাভী হিসেবে ব্যবহার করেছে, সেই ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিল। আমাদেরও অনেক বন্ধু রাষ্ট্র আছে, যাদের কাছে নিউক্লিয়ার বম্ব আছে এবং তারা দিতে রাজি আছে। সুতরাং আপনি ব্যবহার করবেন, আমরা এখানে কলা চুষব, এটা হবে না। এখান থেকেও নিউক্লিয়ার বম্ব লঞ্চ করা হবে।' (আরও পড়ুন: LAC-তে সেনার উপস্থিতি কমায়নি চিন, PLA নিয়ে বড় দাবি আমেরিকার)
আরও পড়ুন: ভারতের অংশ দখল করার বর্তা দিয়েছিলেন ইউনুসের 'ডান হাত', কী বলল আমেরিকা?
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের বহু নেটিজেন এবং রাজনীতিবিদ ভারত দখল নিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। এই নিয়ে অনেকেই অনেক আলটপকা মন্তব্য করেছেন। তবে এরই মাঝে সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের একটি পোস্ট ঘিরে জোর বিতর্ক হয়েছে। ভারতের একাধিক রাজ্য মিলিয়ে 'অখণ্ড বাংলাদেশ' গড়ার ডাক দিয়েছিলেন মাহফুজ। তাঁর সেই পোস্ট ঘিরে অবশ্য বিতর্ক শুরু হয় বাংলাদেশেই। পরে তিনি সেই পোস্ট মুছে দিয়েছিলেন। (আরও পড়ুন: ডোভাল-ওয়াং বৈঠকের পর ভিন্ন বিবৃতি ভারত-চিনের, 'সহমত' হওয়া নিয়ে 'দ্বিমত' দুই দেশ?)
আরও পড়ুন: 'কিংফিশারের দেনা ছিল ৬২০৩ কোটি, তবে...', নির্মলার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিজয় মালিয়া
মাহফুজের সেই বিতর্কিত পোস্টে লেখা ছিল, 'বিজয় এসেছে, তবে সামগ্রিক নয় ।মুক্তি এখনও বহুত দূরে। হিমালয় থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত জনপদ পুনরুদ্ধার ব্যতিত পোকায় খাওয়া পূর্ব পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশ নিয়ে আমরা মুক্তিকে ছুঁতে পারব না। এ রাষ্ট্রের জন্মদাগ তথা ভারত নির্ভরতা ও ভারতের আধিপত্য মুক্ত রাখতে ৭৫ আর ২৪-র ঘটনা ঘটাতে হয়েছে। দুই ঘটনার ব্যবধান ৫০ বছর। কিন্তু আদতে কিছুই পরিবর্তন হয়নি। নতুন ভূগোল ও বন্দোবস্ত লাগবে। একটি খণ্ডিত ভূমি, একটা জন্মদাগ নেওয়া রাষ্ট্র দিয়ে হয় না।'